
সুগারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। রোজ অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা, মানসিক চাপ এসবের ফলেই বাড়ছে রক্তশর্করার মাত্রা। আর তাই রক্তশর্করা যদি প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তাহলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। খুব কম বয়স থেকেই এখন সুগারের সমস্যা হচ্ছে। আর তাই বছরে অন্তত দুবার প্রত্যেকেরই সুগার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই প্রথম থেকেই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তে শর্করা বাড়লে শুধুই যে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে তা নয় সেখান থেকে হতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যাও।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে স্নায়ু এবং রক্তনালীর উপরও চাপ পড়ে। আচমকা স্ট্রোক, রেটিনার সমস্যা, হার্ট অ্যার্টাক এবং কিডনির যে কোনও সমস্যা অচিরেই আসতে পারে যদি রক্তে সুগারের মাত্রা থাকে বেশি। আর তাই রক্তশর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।
প্রথমেই বদল আনুন রোজকার খাদ্য তালিকায়। একটা করে আপেল রোজ খান। সঙ্গে কিউই, অ্যাভোকাডো, বেরি এসব খেতেও কিন্তু ভুলবেন না। সুগারের রোগীদের রোজ নিয়ম করে স্যালাড এবং শাক-সবজি খেতে হবে। শাক, সবজি বেশি খেলে হজম যেমন ভাল হবে তেমনই রক্তশর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবার হজম হওয়া জরুরি। কোনও কারণে খাবার হজম না হলে তখন বমি বমি ভাব থাকতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ আমন্ড, পেস্তা, আখরোট এসব খান। আখরোট ডায়াবেটিসের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও উদ্ভিজ তেল, অলিভ অয়েল খান।
ডায়েটের পাশাপাশি রোজ শরীরচর্চার দিকেও নজর দিতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটতেই হবে। পাশাপাশি ব্যায়াম করুন। এতে হাত, পায়ে ব্যথা থাকবে না। পেশীও সচল থাকবে।
এসব ছাড়াও সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মনে চলতে হবে। তিনি যদি কোনও ওষুধ দেন তা নিয়ম মেনে খেতে হবে। ওষুধের ডোজও তিনিই নির্ধারণ করে দেবেন। আর রক্তশর্করা বেশি থাকলে তার জন্য নিয়ম মেনে চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা কিছু অবশ্যই মেনে চলবেন-
কোনও রকম শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। চিনি, চাল, মিষ্টি এসব একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
মরশুমি ফল খেতে হবে। তবে যে সব ফলের মধ্যে সুক্রোজ বেশি পরিমাণে রয়েছে তা বাদ দিন। যেমন খেজুর, কলা, আঙুর ইত্যাদি।
বাইরের ভাজা খাবার, ডিপ ফ্রায়েড ফুড এসব যত বেশি এড়িয়ে যেতে পারবেন ততই ভাল। ফল খান, তবে ফলের রস একেবারেই নয়।
রোজ হাঁটতে যান। অন্তত ৩০ মিনিট হলেও হাঁটতে হবে।
দেরি করে ঘুম, বেশি ফাস্ট ফুড এসব বাদ দিতে হবে।