
মেন্সট্রুয়াল ক্লট মহিলাদের জীবনের খুব সাধারণ সমস্যা। ঋতুস্রাবের প্যাটার্ন প্রতিটা মহিলার ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়। কিন্তু পিরিয়ডের সঙ্গে চাপ চাপ রক্ত বা ক্লট বেরোয়, তখন অস্বস্তির শেষ থাকে না। এই ব্লাড কল্টের রঙে গাঢ় লাল বা কালচে লাল হয়। পাশাপাশি ক্লটের আকারও ছোট কিংবা মাঝারি হয়। সমস্যা হল, এই কল্ট নিঃসরণের সঙ্গে পিরিয়ডের ব্যথা বাড়ে। পিরিয়ডের সময় জরায়ু থেকে জেলের মতো জমাট রক্ত বের হয় ক্লট হিসেবে।
পিরিয়ডের সময় অত্যধিক মাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং কল্ট বের হওয়া ৭ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক। এক সপ্তাহের পরও যদি এভাবে ব্লিডিং হতে থাকে এবং পিরিয়ড চলতে থাকে, তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি আপনার যদি কল্টের রং পরিবর্তন হয় এবং নিয়মিত এই ক্লট বেরোতে থাকে, তাহলে এটা কোনও রোগের উপসর্গও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার। ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ থ্রম্বোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই মেন্সট্রুয়াল ক্লটকে আপনি প্রাকৃতিক উপায়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, কীভাবে রইল টিপস।
র্যাশবেরি চা: বাজারে র্যাশবেরি চা পাতা কিনতে পাওয়া যায়। গরম জলে ১ চা চামচ র্যাশবেরি চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ওই চা মধু মিশিয়ে পান করুন। পিরিয়ড চলাকালীন দিনে ২-৩ বার র্যাশবেরি চা পান করলে ভাল উপকার পাবেন।
বডি ম্যাসাজ: ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। বিভিন্ন ম্যাসাজ টেকনিক রয়েছে, যা প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং জরায়ুর চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাব চলাকালীন বডি মালিশ করলে মেন্সট্রুয়াল ক্লটের সমস্যা কমে এবং রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো হয়।
কোল্ড কমপ্রেস: পিরিয়ড চলাকালীন তলপেটের ব্যথা কমাতে অনেকেই গরম সেঁক দেন। কিন্তু মেন্সট্রুয়াল ক্লটের সমস্যা কমাতে আইস প্যাক কম্প্রেস করুন। তলপেটে ১-২ মিনিট আইস প্যাক কম্প্রেস করুন তারপর সরিয়ে নিন। এভাবে টানা ৫ মিনিট বা ৩ বার করলে ক্লটিংয়ের সমস্যা কমবে।
আদা চা: এত বেশি ব্লিডিং হচ্ছে যে, বসে থাকতে পারছেন না? তার সঙ্গে চাপ চাপ রক্ত বেরোচ্ছে? এই সময় আদা চা খেলে উপকার পাবেন। আদা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ব্লাড ক্লট কমাতে সাহায্য করে।