
শীতে জল খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। যদিও ধীরে-ধীরে শীতের আমেজ কমেছে। এখন বসন্তের হাওয়া বইছে। আর এই মরশুমে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। জ্বর, পক্স নিয়ে কমবেশি সকলেই সতর্ক থাকেন। কিন্তু এড়িয়ে যান মূত্রনালির সংক্রমণের ভয়। প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালাভাব, ব্যথা, বার বার প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় মূত্রনালির সংক্রমণ হলে। মূলত জল কম খাওয়ার অভ্যাস থেকেই মূত্রনালির সংক্রমণ দেখা দেয়।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। মূলত ই. কোলাই নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে মূত্রনালির সংক্রমণ দেখা দেয়। এছাড়া পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করা, কিডনিতে সংক্রমণ, যৌনাঙ্গে ভাল ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার কারণেও ইউটিআই-এর সমস্যা দেখা দেয়।
মূত্রনালির সংক্রমণ হলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। এতে প্রস্রাবের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে যায়। তার সঙ্গে টক দই বা প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খান, যাতে দেহে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব, ব্যথা, তলপেটে চাপ দেখা দেয়। এমনকি জ্বরও হয়। এই অবস্থায় শুধু জল খেলে আপনি দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন না। ওষুধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়েও নিজের যত্ন নিতে হবে। মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে গোটা ধনে।
ধনে মূত্রনালির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণ উপযোগী। গোটা ধনে শরীরে জল ধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি দেহে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন দূর করে দেয়। এটি মূত্রনালিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এই বীজের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। তাই গোটা ধনে খেলে শারীরিক প্রদাহ ও ব্যথা কমবে।
মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করতে চাইলে সঠিক উপায়ে গোটা ধনে খেতে হবে। গোটা ধনে ভেজানো জল পান করতে পারেন। এক গ্লাস জলে এক চামচ গোটা ধনে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ছেঁকে নিয়ে এই জল পান করুন। ইউটিআই ধরা পড়লে টানা ১০ দিন ধরে ধনের জল পান করুন। মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি এই পানীয় সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করবে।