
রক্ত পরীক্ষা না করালে কোলেস্টেরল বা সুগারের মাত্রা যাচাই করা সম্ভব নয়। আজকাল ঘরে প্রেশার, সুগারের রোগী। এই তালিকায় যোগ হয়েছে ফ্যাটি লিভারও। যদি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। শুধু যে মদ্যপান করলে ফ্যাটি লিভার দেখা দেয়, এমন কিন্তু নয়। অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাটযুক্ত খাবার খেলে, মশলাদার খাবার খেলেও হতে পারে ফ্যাটি লিভার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়ে না এই রোগ। প্রায়শই গ্যাস-অম্বল হচ্ছে, একটু ভুঁড়িও উঁকি মারছে। এগুলোকে অনেকেই এড়িয়ে যান এই লক্ষণ। কিন্তু এমনই কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা দেখে বোঝা যায় আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত।
অনেক সময় গ্যাস-অম্বল হলেও পেটে ব্যথা হয়। আবার ফ্যাটি লিভারেও পেটে ব্যথা দেখা দেয়। এবার বুঝবেন কীভাবে আপনার এই পেট ব্যথার পিছনে লিভারের কোনও রোগ দায়ী কি না?
সাধারণ গ্যাস-অম্বল হলে পেট যেমন ব্যথা হল, ফ্যাটি লিভারের ব্যথা তার থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। বরং, লিভারের সমস্যা হলে পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়। পাশাপাশি পেটে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। লিভারে ফ্যাট জমতে জমতে এই অঙ্গের আকার ও আয়তনও বেড়ে যায়। তখন লিভারের আশেপাশে পেটের টিস্যুর উপর চাপ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ব্যথা হতে থাকে। পেট ফাঁপার সমস্যাও দেখা দেয়।
অস্বাস্থ্যকর ও ভারী খাবার না খেয়েও যদি পেট ভার হয়ে যায়, গ্যাসে পেট ফুলে থাকে, তাহলে সতর্ক হবে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে লিভারের নীচের অংশে জল জমতে শুরু করে। এর জেরে পেট ফুলে ওঠে এবং ভুঁড়ি দেখা দেয়।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া সত্ত্বেও গ্যাস-অম্বল হচ্ছে? গ্যাস-অম্বল, বুক-গলা জ্বালা যদি রোজের সঙ্গী হয়ে যায়, তাহলে সাবধান। বদহজমও কিন্তু ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ।
লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করলে এই অঙ্গটি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে পারে না। তাই প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে খেয়াল রাখুন। ফ্যাটি লিভার দেখা দিলে প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকে। তার সঙ্গে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ ছাড়ছে কি না খেয়াল রাখুন।