ন্যাজাল ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে, ইঞ্জেকশন টিকার সঙ্গে তফাত কোথায়?

ন্যাজাল ভ্যাকসিন নাকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। নানা সংস্থা দাবি করছে ন্যাজাল স্প্রে-এর মাধ্যমে দেওয়া ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম!

ন্যাজাল ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে, ইঞ্জেকশন টিকার সঙ্গে তফাত কোথায়?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 2:20 PM

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণা সফল হলে টিকাকরণ কর্মসূচী আরও গতি পাবে।

ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) কী?

এক্ষেত্রে শরীরে ইঞ্জেকশনের সুচ ফোটাতে হয় না। ন্যাজাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয় নাকের মাধ্যমে। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। গতবছর বিজ্ঞানীরা কোভিড প্রতিরোধ করতে পারে এমন একটি ন্যাজাল ভ্যাকসিন তৈরি করেন ও তার একটি ডোজ প্রয়োগ করেন ইঁদুরের উপর। গবেষণার ফলাফল ছিল সন্তোষজনক। গবেষকরা তাই আশাবাদী যে এই ভ্যাকসিন সংক্রমণের হার নেকটাই কমাতে সক্ষম হবে। ‘সেল’ শীর্ষক এক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকাতে প্রকাশিত এক প্রবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে সংক্রমণের পর করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক অবস্থান হয় নাকের পিছন দিকের অংশ। তাই ন্যাজাল ভ্যাকসিন করোনা সংক্রমণ রুখতে অনেক বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।

বেশ কয়েকদিন আগেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন (WHO)-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ভারতে ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে ন্যাজাল ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেকের তৈরি বিবিভি১৫৪ হল একটি ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন (Intranasal Vaccine)। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলেই খবর।

আরও পড়ুন: স্যানিটাইজারের ক্ষতিকর ৭ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! সামলাবেন কীভাবে?

ন্যাজাল ভ্যাকসিনের উপকারিতা

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঠিক যে পথে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করে, সেখানেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ফলে শরীর সহজেই ভাইরাসের প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক বর্ম তৈরি করে রাখতে পারছে! সুতরাং ভাইরাসকে প্রবেশপথেই আটকে দেওয়ার সুযোগ মিলছে। ফুসফুসে ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা কমছে।

ভারত বায়োটেকের তরফেও জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন (COVID Vaccines) ফল দিচ্ছে। বছরের শেষের দিকে ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ় বাজারে আসতে পারে। এমনকী বড়রাও পেতে পারেন এই ভ্যাকসিন!