AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্যানিটাইজারের ক্ষতিকর ৭ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! সামলাবেন কীভাবে?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাতে নোংরা লেগে থাকলে সাবান-জল দিয়ে ৪০ সেকেন্ড ধরে হাত রগড়ে ধোওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে হাত পরিষ্কার হয়ে যায়। স্যানিটাইজার কিন্তু হাতে লেগে থাকা ময়লা ও নোংরা দূর করতে পারে না!

স্যানিটাইজারের ক্ষতিকর ৭ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! সামলাবেন কীভাবে?
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: Jun 08, 2021 | 5:02 PM
Share

বারবার অ্যালকোহল নির্ভর স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে হাতে একজিমা হওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যায় না। হাতের এক অংশ লাল হয়ে যাওয়া, ওই অংশে ত্বকের শুকনো ভাব থাকা, ফুসকুড়ির মতো তৈরি হওয়া, চুলকানি হওয়ার সমস্যা হলে বুঝতে হয় হাতে একজিমা হয়েছে। এই সমস্যা প্রতিরোধে তাই চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

২. হাতে চুলকানি- হ্যান্ড স্যানিটাইজার মূলত অ্যান্টিসেপটিক উপাদানে ঠাসা থাকে। হাত জীবাণুমুক্ত করাই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কাজ। ইথাইল অথবা আইসোপ্রোপিল অ্যালকোহল হল স্যানিটাইজারের প্রাথমিক উপাদান। হাতে বারবার অ্যালকোহল নির্ভর স্যানিটাইজার লাগালে তা ত্বকের উপরের স্তরের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়! ফলে ত্বক শুকনো দেখায়! হতে পারে চুলকানির মতো সমস্যাও। এক্ষেত্রেও ময়েশ্চারাইজারের প্রলেপ দেওয়াই একমাত্র সমাধান।

৩. বন্ধ্যত্বের সমস্যা- নন অ্যালকোহলিক হ্যান্ডস্যানিটাইজারে থাকে ট্রাইক্লোসান অথবা ট্রাইক্লোকার্বন ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিকটির ঘনঘন এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে তৈরি হতে পারে বন্ধ্যত্ব। এমনকী ভ্রূণের বৃদ্ধিতেও জটিলতা আসতে পারে। দেখা দিতে পারে অ্যাজমা! চিকিৎসকরা এই ধরনের উপাদানযুক্ত হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন।

৪. অ্যান্টিবায়োটিক রেজিন্ট্যান্স– নানা গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ট্রাইক্লোসান-এর বারংবার ব্যবহার তৈরি করতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স!

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে নগ্ন হয়ে ঘুমোচ্ছেন? তাহলে সতর্ক হোন এখনই…

৫. হরমোনের সমস্যা– ট্রাইক্লোসান ব্যবহারে হর্মোনের ভারসাম্যের গণ্ডগোলও হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করছেন কিছু বিজ্ঞানী!

৬. রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতায় আঘাত– শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে ট্রাইক্লোসান নামে রাসায়নিক! ফলে মানুষ দ্রুত অ্যালার্জির মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন।

৭. গন্ধের বিপদ– কিছু কিছু স্যানিটাইজারে বিপুল পরিমাণে সুগন্ধ যোগ করা হয়। বেশি সুগন্ধী মানেই বেশি মাত্রায় থ্যালেটস এবং প্যারাবেনের উপস্থিতি! থ্যালেটস এন্ডোক্রিন গ্রন্থির সমস্যা তৈরি করে। ফলে মানব শরীরের বিকাশসম্পর্কিত নানা সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী থ্যালেটের প্রভাবে প্রজনন ক্ষমতায় গণ্ডগোল তৈরি করার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না! অন্যদিকে প্যারাবেনের মতো রাসায়ানিক বন্ধ্যত্ব, বাচ্চার জন্মের সময় জটিলতা তৈরি করা সহ প্রজনন ক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে থ্যালেট এবং প্যারাবেনমুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাই উচিত।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাতে নোংরা লেগে থাকলে সাবান-জল দিয়ে ৪০ সেকেন্ড ধরে হাত রগড়ে ধোওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে হাত পরিষ্কার হয়ে যায়। স্যানিটাইজার কিন্তু হাতে লেগে থাকা ময়লা ও নোংরা দূর করতে পারে না! অতএব হাত দিয়ে খাদ্যবস্তু গ্রহণ করতে হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। আগে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে। তারপর খাবার খান।