Bangladesh: ‘মিথ্যা কথা বলছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা’, হাড়হিম করা নৃশংসতার কথা উঠতেই সাফাই ঢাকার
Bangladesh: প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ভারতের জলসীমা পার করে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে বাংলাদেশের পটুয়াখালি এবং মঙ্গলায় আটক ছিলেন তাঁরা। বাড়তে থাকে চাপানউতোর।
কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে অবশেষে মিলেছে মুক্তি। বন্দিদশা কাটিয়ে অবশেষে ভারতে ফিরেছেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। আর দেশেই ফিরেই চোখে জল। বাংলাদেশে হাড়হিম করা নৃশংসতার কথা শুনে শিউরে উঠে গোটা দেশ। কেউ ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না, কেউ এখনও ঘটনার তীব্রতাই ভুলতে পারছেন না। একজন তো ভয়ে জলে ঝাঁপও দিয়েছিলেন। ঢোলে পড়েছিলেন মৃত্যুর কোলে। এ সব নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশের শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করল ঢাকা।
বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেডিক্যাল পরীক্ষা-সহ আন্তর্জাতিক সব রীতি মেনেই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে ঠিক মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে মৎস্যজীবীদের যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করা হচ্ছে। ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ভারতের জলসীমা পার করে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে বাংলাদেশের পটুয়াখালি এবং মঙ্গলায় আটক ছিলেন তাঁরা। এদিকে এরইমধ্যে শেখ হাসিনার বিদায়, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে দুই ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিনের পর দিনের তলানিতে যেতে শুরু করে। এরইমধ্যে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগেই দেশে ফিরেছেন গোপাল মান্না। তিনিও ছিলেন আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের দলে। বাংলাদেশের নৌ সেনাদের অত্যাচারের স্মৃতি ভুলতে পারছে না তিনিও। সাফ বলছেন, “নগ্ন করে আমাদের মারা হয়েছে। সেই ছবিও তোলা হয়েছে।”