আজকাল বেশিরভাগ মেয়েরাই কিন্তু PCOS কিংবা PCOD-এর সমস্যায় ভুগছেন। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, অর্থাৎ দুটো ওভারিতে মুসুরদানার মচো অসংখ্য ছোট ছোট সিস্ট থাকে। যে কারণে পিরিয়ডসের সমস্যা হয় এবং ডিম্বানু সঠিক সময়ে নির্গত হতে পারে না। এছাড়াও এই সমস্যার মূল কারণ হল হরমোনের অসামঞ্জস্যতা। শরীরে যদি হরমোন সঠিক ভাবে না কাজ করে তখনই কিন্তু দেখা যায় এই সব সমস্যা। এছাড়াও এই সব সমস্যার উপর কিন্তু প্রভাব থাকে জীবনযাত্রারও। যদি জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রিত না হয়, অ্যালকোহল কিংবা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে সেক্ষেত্রেও কিন্তু আসতে পারে এই সমস্যা।
আজকাল এই সসব সমস্যার কারণে অনেকেই দেরিতে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাই যদি ৪০ -এর পর মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এসবং সঙ্গে নানা শারীরিক অসুবিধে থাকে তাহলে কিন্তু IVF(ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতির কথাই বলছেন চিকিৎসকেরা।
যাঁরা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ওভারিয়ান হাইপারস্টিমুলেশন সিনড্রোম হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ নিজে থেকে ডিম্বানু নির্গত হয় না। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তা করাতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ, হরমোনের ইঞ্জেকশন চলতে থাকে। যে কারণে গর্ভধারণে নানা সমস্যা দেখা যায়। আর তাই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বাইরে থেকে গোনাডোট্রপিন হরমোন শরীরে প্রবেশ করাতে হয়। বেশ কয়েকমাস ধরে এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই সঙ্গে IVF পদ্ধতি কিন্তু অনেকটা সুরক্ষিতও। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ৭০ শতাংশ সফল ভাবে গর্ভবতী হওয়া যায় এবং সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৬০ শতাংশ।
pcos-এর সমস্যায় শরীরে পুরুষ হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। সেই কারণে মাসিক চক্রে প্রভাব পড়ে। ওজন বেড়ে যায়। আর সেখান থেকে কিন্তু গর্ভধারণেও অসুবিধে হয়। ফলে গর্ভধারণ হলেও কিন্তু শিশুর জন্য অনেক রকম ঝুঁকি থেকে যায়। এছাড়াও PCOS-এর সমস্যায় শরীরে ইনসুলের পরিমাণে সামঞ্জস্য থাকে না। ওজন বেড়ে যাওয়া-সহ একাঝিক সমস্যা থাকে। যেখান থেকে তৈরি হতে পারে শারীরিক জটিলতা। তাই কৃত্রিমভাবে ডিম্বানু নিষিক্ত হলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনেকখানি।
আইভি পদ্ধতির সাহায্য নিলেও যে সব বিষয় মেনে চলতে হবে–
স্ট্রেস কমাতেই হবে। মনের উপর চাপ বেশি পড়লে শরীরের ক্ষতি এবং গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যায়।
স্টেস বেশি হলে নানা হরমোনের সমস্যাও বাড়ে। বাড়তে পারে সুগারও।
ওজন কমাতেই হবে। ওজন বাড়লে আসবে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ওজন কমলে ডিম্বাশয়ও থাকবে সুস্থ।
আরও পড়ুন: Asymptomatic omicron: আপনি কি উপসর্গবিহীন COVID-এ আক্রান্ত ? এটা কতটা গুরুতর হতে পারে? জানুন