
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যদি এর যথাযথ চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সাধারণত প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম তিন মাসের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? এর চিকিৎসা কী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার মূল কারণ হরমোনের পরিবর্তন। তবে, এই সমস্যার চিকিৎসা করার সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ মনে রাখতে হবে এই সময় শরীরে যাই যাক না কেন তার প্রভাব পড়তে পারে আপনার সন্তানের উপরেও। তাই নিজে কোনও ডাক্তারি করে ওষুধ না খাওয়াই ভাল। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেন হয়?
সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ বাণী পুরী রাওয়াত জানান, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম এবং কম ফাইবার যুক্ত খাবার খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। শরীরের ভিতর বেড়ে ওঠা ভ্রূণ অন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে শরীর থেকে মল বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কখনও কখনও, শরীরে আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধিও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরে জলের অভাবের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
কী ভাবে স্বস্তি পাবেন?
গর্ভাবস্থায় যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, তাহলে খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন। তার সঙ্গে প্রতিদিন তরলের ইনটেক বাড়ান। সারাদিনে ৮ থেকে ১২ কাপ জল পান করা উচিত। মনে রাখবেন, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কোনও ওষুধ খাওয়া চউিত নয়। দৈনন্দিন রুটিনে চিকিৎসকের পরামর্শে হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে পারেন। এতে ভাল ফল পাবেন।