Diabetes And Homeopathy: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও রাখতে দারুণ কাজ করে এই ৪ হোমিওপ্যাথি ওষুধ, জানতেন?

World Homeopathy Day: ডায়াবেটিসের সঠিক কোনও চিকিৎসা কিংবা ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। ডায়েট, শরীরচর্চার মাধ্যমেই রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়

Diabetes And Homeopathy: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও রাখতে দারুণ কাজ করে এই ৪ হোমিওপ্যাথি ওষুধ, জানতেন?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করবেন

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Apr 10, 2023 | 3:17 PM

স্যামুয়েল হানিম্যানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় হোমিওপ্যাথি দিবস। হানিম্যানকে হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মান্য করা হয়। এইদিনটি পালনের বিশেষ উদ্দেশ্য হল হেমিওপ্যাথি নিয়ে লোকজনের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এই বছরের বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের থিম হল এক স্বাস্থ্য, এক পরিবার। প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে হোমিওপ্যাথির চর্চা। রোগ, ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এই হোমিওপ্যাথির ওষুধ। এছাড়াও অনেক রকম রোগ সারাতে সক্ষম হোমিওপ্যাথি। এইসবের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু কার্যকরী এই হোমিওপ্যাথি। বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। যদি এই হরমোনের পরিমাণ একেবারেই কমে যায় বা কম পরিমাণে উৎপন্ন হয় তখনই কিন্তু সমস্যা। ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে প্রায়শই খিদে পেতে থাকে, মুখ শুকিয়ে যায়, ক্লান্তি থাকে, জল তেষ্টা পায়, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়, সেই সঙ্গে কোনও ক্ষত থাকলে তা সারতেও সময় লাগে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে লাগানো যায় এই হোমিওপ্যাথি।

ডায়াবেটিসের সঠিক কোনও চিকিৎসা কিংবা ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। ডায়েট, শরীরচর্চার মাধ্যমেই রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হোমিওপ্যাথি একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রাকৃতিক পদার্থ থেকেই তৈরি হয় হোমিওপ্যাথির ওষুধ। আর তাই শুধুমাত্র এই হোমিওপ্যাথির উপর ভরসা করে থাকবেন না। ডায়াবেটিস থাকলে হোমিওপ্যাথিতে যে সব ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ সাধারণত দেওয়া হয় তা হল- আর্সেনিকাম, অ্যালবাম, অরামমেট, লাইকোপোডিয়াম, মেডেরিনাম, ফসফরাস, সিজিজিয়াম জ্যাম্বো, ইউরেনিয়াম নাইট্রিকাম, নাক্স ভমিকা ইত্যাদি। তবে নিজের থেকে এই সব ওষুধ কিন্তু একেবারেই খাবেন না। যদি চিকিৎসক বলেন তবেই খাবেন। এছাড়াও কঠোর ভাবে যা কিছু অবশ্যই মেনে চলতে হবে-

ডায়েট- যথাসম্ভব কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। খাবারের মধ্যে যাতে কার্বোহাইড্রেট, শর্করা কম থাকে সেই দিকে  নজর রাখুন। শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। মরশুমি ফল খান। ডাল, মাছ, মাংস খান। তবে যে কোনও খাবারই একেবারে হালকা রান্না করে খেতে হবে। অতিরিক্ত তেল, মশলা একেবারেই নয়। চিনি বাদ দিয়ে দিন। খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে প্রোটিন লাড্ডু বানিয়ে খেতে পারেন। ওটস, খেজুর, ড্রাই ফ্রুটস এসব দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিন।

চিকিৎসকের পরামর্শে থাকুন। রোজ শরীরচর্চা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম যাতে হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়াও মানসিক চাপ কম নিন।