
শীত পড়লেই রোগ প্রতিরোধের কথা মাথায় রেখে অনেকেই চ্যবনপ্রাশ খাওয়া শুরু করেন। আয়ুর্বেদে এই টনিকের গুরুত্ব বহুদিনের। চ্যবনপ্রাশ (Chyawanprash) সাধারণত নানা ভেষজ, মসলা ও পুষ্টিকর উপাদানের মিশ্রণে তৈরি হয়। এর মূল উপাদান আমলকি, যা ভিটামিন–সি-তে ভরপুর। সঙ্গে থাকে ঘি, মধু, তিল বা তিলের তেল, দালচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, যষ্টিমধু, অশ্বগন্ধা, বেল, গিলয়, পিপুল, নাগকেশর, ভৃঙ্গরাজ–সহ আরও বহু আয়ুর্বেদিক গাছগাছড়া ও মশলা। এসব উপাদান ধীরে ধীরে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করা হয়। এই ভেষজ মিশ্রণকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, শক্তি জোগাতে ও শীতকালে শরীর গরম রাখতে উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ঠিক কতটা পরিমাণে চ্যবনপ্রাশ খেলে উপকার মেলে, জেনে নিন বিস্তারিত।
দিনে ১ থেকে ২ চামচ (প্রায় ১০–২০ গ্রাম)–এর বেশি চ্যবনপ্রাশ নয়।
সকালে টিফিনের আগে বা পরে একবারই যথেষ্ট। চাইলে রাতে শোওয়ার আগে হাফ বা ১ চামচ খাওয়া যায়।
অনেকের অম্বল বাড়তে পারে। তাই হালকা কিছু খাওয়ার পর চ্যবনপ্রাশ খাওয়া ভাল।
গরম দুধের সঙ্গে ১ চামচ চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
চ্যবনপ্রাশে চিনি বেশি থাকে। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা এটি খেলে হাফ চামচ বা কম খাবেন, তাও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
৩–১২ বছরের শিশুদের জন্য প্রতিদিন হাফ বা ১ চামচ যথেষ্ট। ছোটদের ক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিশিয়ানের পরামর্শ দরকার।
খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
চ্যবনপ্রাশ গরম প্রকৃতির। অনেককে মানায়, অনেককে আবার অস্বস্তি দেয়। প্রথমে হাফ চামচ ট্রায়াল হিসেবে নিন।
নিয়মিত বেশি চ্যবনপ্রাশ খেলে অম্বল, পেট গরম, বা ডায়েটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই নিয়মিত সামান্য পরিমাণই সঠিক।