Cholesterol Test: ঘরে বসেই এভাবে কোলেস্টেরল টেস্ট করুন, ফল 100 mg/dl পেরোলেই ডাক্তারের কাছে ছুটুন

Lipid Profile: কোলেস্টেরলের মাত্রা যে বেড়েছে, তা লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা না করালে জানা সম্ভব নয়। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করলে তবেই বোঝা যাবে, কোলেস্টেরল কতটা বেড়েছে। এখান থেকেই বোঝা যাবে আপনার মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা। আপনি বাড়িতেই কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।

Cholesterol Test: ঘরে বসেই এভাবে কোলেস্টেরল টেস্ট করুন, ফল 100 mg/dl পেরোলেই ডাক্তারের কাছে ছুটুন

|

May 11, 2024 | 12:08 PM

উচ্চ কোলেস্টেরল মোটেও ছেলেখেলার বিষয় নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যে কারণে নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০-এ পা দিলেই নিয়মিত কোলেস্টেরলের মাত্রা যাচাই করা দরকার। তবে, আজকাল ২৫-এ পা দিয়েও অনেকে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। সেক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর অন্তর লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করানো দরকার।

কোলেস্টেরলের মাত্রা যে বেড়েছে, তা লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা না করালে জানা সম্ভব নয়। চোখের কোণে হলুদে দাগ, পায়ের পেশিতে ক্র্যাম্প ধরা, ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার মতো লক্ষণ থাকলেও উচ্চ কোলেস্টেরল সহজে ধরা পড়ে না। এর জন্য আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করতেই হবে। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করলে তবেই বোঝা যাবে, কোলেস্টেরল কতটা বেড়েছে। এখান থেকেই বোঝা যাবে আপনার মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা। আপনার পরিবারের মধ্যে যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে বছরে একবার রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। আর যদি ইতিমধ্যেই আপনি উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগেন, সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর রক্ত পরীক্ষা করাতেই হবে। কিন্তু প্রতিবার ক্লিনিকে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানো সম্ভব হয় না। অনেকে যেতেও চান না রক্ত পরীক্ষা করাতে। আর ৬ মাস অন্তর ব্লাড টেস্ট করাতে গেলে খরচও হয় অনেক। সেক্ষেত্রে আপনি বাড়িতেই কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।

বাজারে এমন অনেক কোলেস্টেরল টেস্ট কিট পাওয়া যায়, যা সহজেই বলে দিতে পারে আপনার লিপিড প্রোফাইলের মাত্রা। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদিত যে কোনও কোলেস্টেরল টেস্ট কিট কিনে নিন। বাড়িতে বসে কোলেস্টেরল টেস্ট করলেও তার আগে কিছু নিয়ম আপনাকে মানতে হবে। যে দিন রক্ত পরীক্ষা করবেন, তার ৮-১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকুন। চা-বিস্কুটও খাবেন না। এতে কিন্তু পরীক্ষার ফল ভুল আসতে পারে।

ল্যানসেটের মাধ্যমে আঙুল থেকে রক্ত বের করে নিন। এবার এই ব্লাড স্যাম্পেল স্ট্রিপের উপর রাখুন। এবার এই স্ট্রিপ মিটারের মধ্যে রাখুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জানতে পেরে যাবেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কী আছে। স্ট্রিপ থেকে মিটার সবই আপনি কোলেস্টেরল টেস্ট কিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন। এবার বুঝবেন কীভাবে কখন ডাক্তার দেখানো দরকার?

এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা 100 mg/dl-এর নীচে থাকা মানে আপনি সুস্থ আছে। এর বেশি থাকলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। খারাপ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল কোলেস্টেরল ও Total cholesterol-এর মাত্রাও যাচাই করুন। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা 150mg/dl-এর কম থাকা উচিত। আর টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা 200 mg/dL-এর নীচে থাকা দরকার। এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা সবসময় 60 mg/dL-এর বেশি হওয়া দরকার। এই মাত্রার উপর-নীচ হলে চিকিৎসকের কাছে যান।