
যদি কেউ পায়ের পাতায় বা হাঁটুতে ঘন ঘন ব্যথা অনুভব করেন, পায়ের আঙ্গুল এবং বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা দিন দিন বাড়তে থাকে, তা হলে এটি ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) মাত্রা বৃদ্ধি অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোনও ব্যক্তির শরীরে এই মাত্রা কেন বৃদ্ধি পায় এবং কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এই বিষয়ে দিল্লির আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর সুভাষ গিরি নানা তথ্য জানিয়েছেন।
ডক্টর সুভাষ ব্যাখ্যা করেন যে, যখন আমাদের খাদ্যাভ্যাস খারাপ হয়, তখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার কারণেও এটি হতে পারে। ডক্টর গিরি ব্যাখ্যা করেন যে, শরীরে পিউরিন নামক একটি রাসায়নিক ভেঙে গেলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি একটি বর্জ্য পণ্য এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। তবে, যখন আমরা উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করি, তখন কিডনির উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। যা কিডনিকে এটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করতে বাধা দেয় এবং এটি রক্তে জমা হতে শুরু করে।
লাল মাংস, খাসির মাংস, রাজমা, মসুর ডাল, ফুলকপি, মাশরুম এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে। এগুলো খাবারে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া চিনিযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল এবং বিয়ার খাওয়ার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে।
উপরিল্লিখিত খাবারগুলো বেশি খেলে শরীরে জলের অভাবের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি হয় না। এবং ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। এ ছাড়া পরিবারের কোনও সদস্যের যদি ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির প্রবণতা থাকে, তা হলে অন্যান্য সদস্যদেরও এই ধরনের সমস্যা থাকার সম্ভাবনা থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ