
কথায় কথায় রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে অনেকেরই। আমরা অনেকেই এঁদের বদমেজাজি বলি। যখন তখন রেগে যাওয়া, যেখানে সেখানে চেঁচিয়ে ফেলেন এই স্বভাব থাকে অনেকের। রাগ হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না অনেকেই। আর তার ফলে এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যে তা নিয়ে নিজের আর আপশোষের শেষ থাকে না।
কিন্তু কেন হয় এই রকম রাগ?
এই রকম রাগ হওয়ার পিছনে আলাদা করে কারণ থাকে না। সাধারণত আমাদের কিছু পছন্দ না হলে মনক্ষুণ্ণ হয়। আর সেই ভাল না লাগার মাত্রা একটু বেশি হলেই তা পরিণত হয় রাগে। ভয়, লজ্জা, বিরক্তি, অভিমানের মতো নানা কারণ থাকে এই রাগের পিছনে। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপ, অবসাদও রাগের কারণ হতে পারে। আবার কয়েক ধরনের মানসিক অসুখও এই রাগের পিছনে থাকতে পারে। একটানা হতাশা এবং দুঃখের মধ্যে থাকলে রাগ এবং অভিমান হতে পারে। আবার নিয়মিত মাদক দ্রব্য সেবনের অভ্যাস থাকলেও নেশার ঘোরে চিন্তাশক্তি হ্রাস পায়। তখন রাগের সমস্যা দেখা যায়। আবার বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো নানা অসুখ থাকলেও সমস্যা হতে পারে।
কথায় কথায় বিরক্ত হওয়া, মনের মধ্যে সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা ঘুরপাক খাওয়া, যখন তখন চেঁচামিচি করে ফেলছেন, বা উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধরফরের মতো শারীরিক অস্বস্তি হতে পারে বা সাধারণ সমস্যায় ঝগড়া করে অনান্য মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলা বন্ধ করে রেখেছেন তাহলে বুঝবেন আপনার রাগের প্রবণতা বাড়ছে।
এতে কিন্তু জীবনে আপনার সমস্যাই বাড়বে। একটা সময়ের পরে দেখবেন জীবন থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে কাছের মানুষগুলি। তাই সময় থাকতেই সাবধান হন। কথা বলার আগে ভাবুন। কোনও সমস্যা হলে বিরক্ত না হয়ে সমাধান খুঁজুন। অতিরিক্ত রাগ হলে প্রাণায়াম বা যোগ ব্যয়াম করতে পারেন। কাজ না হলে কাউন্সিলরের শরণাপন্ন হন।