
২৪-৩৮ দিন অন্তর একবার ঋতুস্রাব হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এক মাসে যদি দু’বার পিরিয়ড হয়ে যায়, তখনই বিষয়টি চিন্তার। কিন্তু কেন হঠাৎ করে মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হল? শরীরে কোনও রোগ লুকিয়ে নেই তো? আর যদি প্রায়শই এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কী করবেন? সব প্রশ্নের উত্তর রইল এই প্রতিবেদনে।
মাসে দুই বা তার বেশি ঋতুস্রাব হওয়াকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলা হয়। এই ধরনের ঘটনা কিন্তু খুব একটা স্বাভাবিক নয়। তবে, আজকাল অধিকাংশ মেয়েরাই পিসিওডি-এর সমস্যায় ভোগে। এর জেরেও কিন্তু মাসে দু’বার পিরিয়ড হয়। আবার যদি ঘন ঘন এই ধরনের সমস্যা ঘটে, এই অনিয়মিত ঋতুস্রাব থেকে ওভারিতে টিউমার ও ওভারিয়ান ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সাবধান হওয়া ভীষণ জরুরি।
অনেক সময় দেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, মানসিক চাপ বেড়ে গেলে কিংবা শরীর বা ডায়েটে পরিবর্তন হলেও কোনও মাসে দু’বার পিরিয়ড হয়ে যায়। পিসিওডি, থাইরয়েড বা ফ্রাইবয়েডের সমস্যায় মাসে দু’বার পিরিয়ড হয়। এই ধরনের সমস্যা হলে ঘরোয়া টোটকায় আপনি এই সমস্যা দূর করতে পারেন।
আদা: অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় আদা খেতে পারেন। আদা খেলে ঋতুচক্র স্বাভাবিক থাকে। পাশাপাশি পিরিয়ডের সময় হওয়া ক্র্যাম্প, অত্যধিক রক্তক্ষরণ, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
দারুচিনি: মেন্সট্রুয়াল সমস্যা দূর করতে দারুচিনি দারুণ উপকারী। পিসিওডি-এর সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই দারুচিনিকে ডায়েটে রাখুন। এই মশলা দেহে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। দারুচিনি খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও দূর হবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: অ্যাপেল সিডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিয়ে পান করুন।
জিরের জল: ওজন কমাতে অনেকেই জিরের জল পান করেন। ঋতুচক্রকে ঠিক রাখতেও জিরের জল খেতে পারেন। খালি পেটে জিরের জল খেলে মেন্সট্রুয়াল হেলথ ভাল থাকে। আর ওজনও বশে থাকে।
হলুদ: হলুদের মধ্যে কারকিউমিন রয়েছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি পিরিয়ডের সময় হওয়া শারীরিক অস্বস্তি কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোজের ডায়েটে হলুদ রাখলেই উপকার পাবেন।