
বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন এই ব্যাধিতে। টায়াবেটিস দু রকম। টাইপ ১ আর টাইপ ২। এই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যাই বর্তমানে সবচাইতে বেশি। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি যে বর্তমান ভারতকে বলা হচ্ছে ডায়াবেটিসের রাজধানী। রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকলে শরীর ভিতর থেকে কমজোরি হতে শুরু করে। পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমে যায়। ক্লান্তি লেগেই থাকে। পাশাপাশি আরও একাধিক রোগও জাঁকিয়ে বসে শরীরে আর তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করাতেই হবে। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে ডায়েটও। শর্করা, কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েট মেনে চলা এবং শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকতে হবে। সেই সঙ্গে এমন সব খাবার খেতে হবে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল শর্মা যেমন জানাচ্ছেন সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় ভূমিকা রয়েছে ছোলার। যদিও এই ছোলাকে ঘোড়ার খাবার বলে অনেকেই তুচ্ছ করেন। আজ কয়েক বছর আগে ব্যায়ামবীরদের কাছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য বলতে ভরসা ছিল একমাত্র এই ছোলার উপরেই। রোজ সকালে উঠে ভেজানো ছোলা-বাদাম আর গুড় খেতেন তাঁরা। প্রোটিন শেকের পরিবর্তে এই সব দেশি খাবারই শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে এই ছোলা। ছোলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এই ফাইবারই সুগারের রোগীদের জন্য ভাল।
ডায়াবেটিসের সমস্যায় ছোলা কীভাবে খাবেন
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে সকালে একমুঠো নিয়ে গুড় আর একটুকরো আদা দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও ছোলা সিদ্ধ করে মুড়ি দিয়ে খেতে পারেন। ছোলা ভেজানো পেঁয়াজ, শসা, লঙ্কা কুচি, লেবুর রস এসব দিয়ে চাট মশলা বানিয়েও খেতে পারেন। বিকেল বা সন্ধ্যেবেলায় খুব ভাল জলখাবার হল এই চানা। তবে বিশেষজ্ঞরাও বলছেন ছোলা খাওয়ার সবথেকে ভাল সময় হল সকালবেলা।
ছোলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর ফলে হার্ট ভাল থাকে সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে অনেকখানি। ছোলার মধ্যে থাকে আয়রন যা খেলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে ছোলার মধ্যে থাকে ফাইবার যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।