সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগ বদলেছে, বদলেছে আমাদের চিন্তাধারাও। তবে এখনও যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে কাল ঘাম ছুটে যায় আম বাঙালির। সেক্সকে আজও একটা ট্যাবু বানিয়ে রেখেছি আমরা। কিন্তু সেক্স নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করাটা অত্যন্ত জরুরি। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। সম্পর্কের বুনিয়াদ মজবুত করতে সেক্স যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা অজানা নয় কারোও। পর্যাপ্ত যৌন সুখের অভাবে সম্পর্কে চিড়় অবধি ধরে। তাই সঙ্গীর চাহিদা ও যৌন সুখ সম্পর্কে অবগত থাকা ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। আর এই বিষয়ে আলোচনা করতে বসলে প্রথমেই বলতে হয় অর্গাজমের কথা। কারণ যৌনমিলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। অর্গাজমই (Orgasm) মেয়েদের যৌন সুখের তৃপ্তি বোঝার একমাত্র উপায়। আর এই অর্গাজমে পৌঁছনোর সিড়ি হল জি-স্পট (G-Spot)। কিন্তু এই জি-স্পট আদতে কী? শরীরের কোথায় থাকে এটি? অর্গাজমের সঙ্গেই বা এটির কী সম্পর্ক? আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
জি-স্পট কী?
জি-স্পটের পুরো নাম হল গ্রাফেনবার্গ স্পট। এটি মেয়েদের শরীরের কোন অংশে রয়েছে তা হলফ করে বলা সম্ভব নয়। জি-স্পটের কোনও নির্দিষ্ট স্থান এখনও আবিস্কার হয়নি। যৌনমিলনের সময় জি-স্পট স্পর্শ করতে পারলে যৌনমিলনে চরম পরিতৃপ্তি পান নারীরা। অর্থাৎ সঙ্গীকে চরম সুখ দিতে এই স্থান সিঁড়ির মতো কাজ করে।
কীভাবে খুঁজে পাবেন এই জি-স্পট?
বিশেষ অংশ স্পর্শ করুন: সঙ্গমের সময় মেয়েদের গলা, থাই, ঘাড়ের অংশ বেশী করে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও স্তনবৃন্ত, ঠোঁট, তলপেট, পায়ের তলা এই সব অংশেও লুকিয়ে থাকতে পারে জি-স্পট। এই বিশেষ স্পট খুঁজে পেতে শরীরের এই অংশ গুলিকে বেশী করে স্পর্শ করতে হবে।
ফোরপ্লের সময় বাড়ান: সঠিক সেক্সের মূল ফান্ডা হল ফোরপ্লে। এর মাধ্যেমেই উভয়ের মধ্যে যৌন ইচ্ছা তীব্র হয়। আর এই জি-স্পট খুঁজে পেতে ফোরপ্লের সময় বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি রোলপ্লের সাহায্য নিতে পারেন। সেক্সকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করে রোলপ্লে।
সেক্স টয় ব্যবহার করুন: বিছানায় দীর্ঘস্থায়ী হতে ও সেক্সকে আরও অ্যাডভেঞ্চারাস করতে সেক্স টয় ব্যবহার করুন। এতে জি-স্পট দ্রুত খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আর একঘেয়ে সেক্সের থেকে স্বাদ বদল হবে এই উপায়ে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।