
সময়মতো পিরিয়ড না হলে চিন্তা হয়। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি তো! কিন্তু অনেক সময়, পিরিয়ডের তারিখ এগোতে বা পিছোতে চান অনেকে। হয়তো পিরিয়ডের তারিখেই রয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান কিংবা বেড়াতে যাওয়া। সে দিনই পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে মুশকিল। বার বার প্যাড পরিবর্তনের ঝামেলা। তার সঙ্গে তলপেট, কোমর-পায়ে ব্যথা। এসব ঝক্কির মধ্যে কেউ যেতে চায় না। তার চেয়ে যদি ২-৩ দিন আগে পিরিয়ড হয়ে যায় সেটাই ভাল। আর পিরিয়ডের ডেট এগোনোর জন্য কোনও ওষুধের সাহায্য নিতে হবে না। ঘরোয়া টোটকাতেই পিরিয়ডের তারিখ এগিয়ে দিতে পারবেন।
পাকা পেঁপে: পিরিয়ডের তারিখ এগোনোর জন্য পাকা পেঁপের সাহায্য নিন। এটি জরায়ুতে সংকোচন উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপেতে থাকা ক্যারোটিন ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যও বজায় রাখে, যা সময়ের আগে ঋতুস্রাব হতে সাহায্য করে। তাজা ফল খাওয়ার পাশাপাশি দিনে দু’বার পাকা পেঁপের রস খান।
জোয়ান: জোয়ান ও গুড় একসঙ্গে খেলে সময়ের আগে পিরিয়ড হয়ে যাবে। পাশাপাশি মেন্সট্রুয়াল ক্যাম্প থেকেও মুক্তি পাবেন। এক গ্লাস জলে ১ চামচ জোয়ান ফুটিয়ে নিন। এতে ১ চামচ গুড় মিশিয়ে খালি পেটে খান।
আদা: কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পিরিয়ডের ডেট এগোতে চাইলে আদার সাহায্য নিন। এমনকি সময়মতো পিরিয়ড না হলেও আদা খেতে পাবেন। আদা জরায়ুতে তাপ উৎপন্ন করে এবং সংকোচনে সাহায্য করে। এতে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। আদা দিয়ে চা খেলে পারেন। সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন, যদি সকালে খালি পেটে ২:১ অনুপাতে জলের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খান। ঋতুস্রাব শুরু হওয়া পর্যন্ত আদার রস খান।
ধনে: গোটা ধনে বাঙালির হেঁশেলে সহজেই মেলে। এই ভেষজ উপাদান অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও দূর করে। ২ কাপ জলে ১ চামচ গোটা ধনে ফুটিয়ে নিন। এই ধনের জল দিনে ৩ বার করে খান। এতে ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
তিল: পিরিয়ডের ডেট এগোতে চাইলে তিলের সাহায্য নিন। তিল শরীরকে গরম করে তোলে। তাই গ্রীষ্মকালে এই টোটকা কাজে লাগানোর আগে সাবধান থাকুন। পিরিয়ডের তারিখ এগোতে চাইলে অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে তিল খান। দিনে ২-৩ বার মধু বা গরম জলের সঙ্গে তিল মিশিয়ে খেতে পারেন।