
কিডনিতে স্টোন হওয়া যেমন খুব সাধারণ সমস্যা তেমনই গলব্লাডারেও হয় স্টোনের সমস্যা। পিত্তথলির সমস্যা হলে প্রচণ্ড ব্যথা না হলে কোনও ভাবেই কিন্তু বোঝা যায় না। পিত্তথলির পাথর ছোট আর শক্ত হয়। কোলেস্টেরল বেশি থাকলেই গলব্লা়ডারে স্টোনের সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও পিত্ত লবণের আধিক্য থাকলে সেখান থেকেও গলব্লাডারে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। পিক্তথলিতে অর্থাৎ গলব্লাডারে পাথর হলে তার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ থাকে। খাবার হজম করতে সমস্যা, গ্যাস-অ্যাসিডিটি এসব লেগে থাকা, পেটের উপরের ডানদিকে তীব্র ব্যথা, পেটের মাঝখানে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বমি বমি ভাব, গা গোলানো এসব থাকেই।
পিত্তথলির পাথর যদি খুব ছোট হয় তাহলে তা সহজেই গলে যেতে পারে। অন্ত্রের মাধ্যমে পিত্ত থলি দিয়ে এই পাথর বেরিয়ে আসে। যদি কোনও কারণে পিত্তনালীতে পাথর আটকে যায় তাহলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। এমনকী গুরুতর সমস্যা হতে পারে। পিত্তথলিতে পাথর হলে সাধারণত অপারেশন করে দেওয়া হয়। সেই মত ওষুধও চলতে থাকে। আর এই পাথর ফেলে রাখলে কিন্তু বেশ মুশকিল। সেখান থেকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। পিত্তথলিতে পাথর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত চিকিৎসা তো করাবেনই পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই কয়েকটি খাবারে।
কাঁচা হলুদ এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যৈন্টিঅক্সিডেন্ট। আর তাই রোজ হলুদ খেলে পিত্তরস ঠিকমতো কাজ করতে পারে। সুস্থ থাকতে রোজ সকালে খালিপেটে মধু আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে খান। এতে শরীর ঠিক থাকবে।
লেবুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা পিত্তথলির পাথর হওয়া আটকায়। রোজ সকালে খালিপেটে একগ্লাসস লেবু জল খান। এছাড়াও সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
ক্র্যানবেরির জুসও খুব ভাল কাজ করে এক্ষেত্রে। পিত্তথলির পাথর থেকে মুক্তি পেতে খুব ভাল হল এই জুস। ক্র্যানবেরির জুসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হবে না।
নারকেল তেল পিত্তথলির পাথর দূর করাতে খুব ভাল কাজ করে। তিন চামচ নারকেল তেল, ১/৪ গ্লাস আপেলের জুস, অর্ধেক পাতিলেবুর রস আর ৫ কোয়া রসুন, এক টুকরো আদা থেঁতো করে নিয়ে একসঙ্গে খান। এতেও কিন্তু দ্রুত চর্বি গলে আর গলব্লাডারের স্টোন থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।