
বর্ষাকাল মানেই জীবাণুর সংক্রমণ। নান ধরনের ভাইরাস, ব্য়াকটেরিয়া প্রকোপ বাড়ে এই সময়। রোগ জীবাণুর জেরে রোগ-ভোগ জাঁকিয়ে বসে শরীরে। আর এবার বর্ষার শুরুতেই বেড়েছে কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রতিপত্তি। ছোট থেকে বড় সকলেই এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন।
এই কনজাঙ্কটিভাইটিস কে সাধারণত পিঙ্ক আই বা রেড আই বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্যাকে চলতি ভাষায় ‘জয় বাংলা’ ও বলা হয়। অনেকেই এই রোগকে হালকাভাবে নেন ঠিকই কিন্তু একেবারেই এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। চোখ মানব শরীরের একটি অতি সংবেদনশীল অঙ্গ। তাই চোখের প্রতি আমাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। আসুন কনজাঙ্কটিভাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ:
১. চোখ লালা হয়ে যাওয়া
২. চোখ জ্বালা করা
৩. চোখে ব্য়থা
৪. আলোয় তাকাতে কষ্ট হওয়া
৫. চোখের পাতা আঠার মতো জুড়ে যাওয়া
৬. চোখে ময়লার আস্তরণ পড়ে যাওয়া
কনজাঙ্কটিভাইটিসের হাত থেকে বাঁচার উপায়-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় জোর দিন:
কনজাঙ্কটিভাইটিসের হাত থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। কারণ হাত থেকেই এই রোগের জীবণু ছড়ায়। তাই সবসময় ভাল করে হাত ধুচে হবে। বিশেষ করে টয়লেট ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।
ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার নয়:
এই রোগ কিন্তু ছোঁয়াচে তাই নিজের ব্যবহারের জিনিস অন্যেপ সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তাতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলুন:
যেহেতু এই রোগ ছোঁয়াচে তাই ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলাই ভাল। তাই আপনি যদি কনজাঙ্কটিভাইটিসের শিকার হন তবে একেবারেই ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলুন।
স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন:
স্যানিটাইজার ব্যবহার করা একটি ভীষণ ভাল অভ্যাস। এতে ভাইরাস বা জীবাণুর বিনাশ ঘটে। তাই ঘন-ঘম স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
চোখে গরম সেঁক দিন:
এই রোগ হলে চোখে উষ্ণ সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এতে জ্বালা যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই উপশম পাওয়া যায়। একটা পরিষ্কার সাদা কাপড় উষ্ণ গরম করে সেঁক দিন।
চোখে হাত দেবেন না:
কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখে একদমই হাত দেবেন না। কারণ এতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে শুধু তাই নয়, চোখের সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।