মূত্রনালীর সংক্রমণ খুবই সাধারণ ঘটনা। মূলত মেয়েদের মধ্যেই এই সংক্রমণ বেশি হয়। তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। বাইরের বাথরুম বেশি ব্যবহার করলে কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে হয় এই ইউটিআই-এর সংক্রমণ। এছাড়াও নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলেও সেখান থেকে ইস্ট সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও যৌনতা থেকেও হতে পারে মূত্রনালীর সংক্রমণ। আর তাই সঙ্গের পর মেয়েদের বিশেষ কিছু টিপস মাথায় রাখা উচিত। ইউরিনারি ট্র্যাকে ইনফেকশন হলে বারবার প্রস্রাব পায়। সেই সঙ্গে প্রস্রাব করার সময় জ্বালা, পোড়া ভাব, পেটে ব্যথা, অস্বস্তি নানা কিছু হতে পারে। সেই সঙ্গে যোনিতে অস্বাভাবিক ভাবে ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি হয়। আর সংক্রমণ খুব বেশি হলে যোনিপথে চুলকানি, ফোলা ভাব, সাদা যোনিস্রাব একাধিক সমস্যা থাকে।
যৌনতার (Sex) পর কি সংক্রমণ হতে পারে?
যৌন মিলনের পর মহিলাদের মধ্যে বাড়ে ইস্টের সংক্রমণ। পেনিট্রেটিভ সেক্স প্রভাব ফেলে যৌনাঙ্গের উপর। ফলে যোনির আশপাশেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে যৌনিপথে পিএইচ ভারসাম্যেও পার্থক্য দেখা দেয়। যার ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।
আর তাই যৌনতার পর যা কিছু মেনে চলবেন মেয়েরা
যৌন মিলনের পর মেয়েরা অবশ্যই প্রস্রাব করবেন। এতে মূত্রনালী থেকে যাবতীয় ব্যাকটেরিয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। সাধারণত যোনিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া যদি ভুলকরে মূত্রনালীর ভির প্রবেশ করে যায় তাহলেই সমস্যা বেশি হয়। ইউটিআই এর সমস্যা হয়। এছাড়াও যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রেও ইউটিআই এর সমস্যা বেশি হয়।
যৌন মিলনের পর শুকনো টিস্যু বা সুতির পরিষ্কার কাপড় দিয়ে যৌনাঙ্গ খুব ভাল করে মুছে নিতে হবে। কারণ এই সময় যোনিতে আর্দ্র ভাব বেশি থাকে। যে কারণে চট করে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে বসে। যোনির আর্দ্রভাব কোনও ভাবেই বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
যৌন মিলনের ঠিক পর পরই অর্ন্তবাস পরবেন না। টাইট ফিটিং অর্ন্তবাস তো একেবারেই না। বরং কিছুক্ষণ ফাঁকা হাওয়াতে থাকলে যৌনাঙ্গে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। যদি নিজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাহলে নগ্ন হয়ে ঘুমোতে পারেন। যোনিতে হাওয়া লাগলে তা সহজেই যে কোনও সংক্রমণ রোধ করে দেয়। সব থেকে ভাল যদি ঢিলেঢালা কোনও পোশাক পরেন। সব সময় চেষ্টা করবেন সুতির অর্ন্তবাস, পায়জামা পরতে।