
অনেকেই একটু বেশি অ্যালার্জি প্রবণ হয়। অর্থাৎ সামান্য কিছুতেই চুলকানি, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি এসব লেহেই থাকে। অনেকেই প্রথমে এই অ্যালার্জি এড়িয়ে যান। ভাবেন হয়তো কিছু কামড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেই জায়গা লাল হয়ে ফুলে যায়।

এই ফোলা, জ্বালাভাব যে খুব বেশি সময় ধরে থাকে তা কিন্তু একেবারেই নয়। কয়েক ঘণ্টার ভোগান্তির পর হঠাৎ করেই সব গায়েব। হাঁফ ছেড়ে নিস্তার। কিন্তু এমন চুলকানির অ্যাটাক মাঝে মধ্যেই যত্রতত্র শুরু হয়ে যায় অনেকেরই। তখন অনেকেই অ্যান্টি অ্যালার্জির ওষুধ খান। এবার সব ওষুধ যে সবাইকে স্যুট করে এরকমও নয়।

চুলকানি হল লক্ষণ আর অ্যালার্জি হল কারণ। যা অ্যালার্জেন্স ঘটিত। অর্থাৎ কোনও একটি বিশেষ উপাদান শরীর নিতে না পরলে তার প্রতিক্রিয়া অ্যালার্জি।

যাদের রক্তে ইষ্ণোফিলের পরিমাণ বেশি তাদের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা হয় অনেক বেশি। বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও চুলকানিটা একটা লক্ষণ, কারণ শরীরের অ্যালার্জেনের প্রতিক্রিয়া বা বহিঃপ্রকাশ হল ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ জ্বালা-যেটা চুলকানির রূপে প্রকাশ পায়। এই চুলকানি শরীরে যে কোনও স্থানে হতে পারে।

আর তাই চুলকানির সমস্যায় সবচেয়ে ভাল হল কাঁচা হলুদ আর নিমপাতা। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিমপাতা আর হলুদ চিবিয়ে খান। চাইলে সামান্য গুড় মিশিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও স্নানের জলে নিমপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন।

হলুদ, অ্যালোভেরা জেল আর মধু এক সঙ্গে মিশিয়েও অ্যালার্জির জায়গায় লাগাতে পারেন। নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করলে অ্যালার্জি থেকে ত্বকে কাল দাগছোপ পড়বে না।