
জামাইষষ্ঠী বাঙালি সংস্কৃতির এক আনন্দঘন পার্বণ। নানা রকম সুস্বাদু খাবার খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয় জামাইকে। সে মেনুতে কী নেই? পাঁঠার মাংস, ইলিশ ভাজা, চিংড়ি মালাইকারি, রসমালাই, রাবড়ি বলে শেষ করা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই, এমন দিনে বাইরের অতিরিক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়া অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই ধরনের ভারী খাবার হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই আনন্দ উপভোগ করতে গেলে চাই সচেতনতা ও পেটের যত্ন। কী ভাবে তা হবে?
১। খাওয়ার আগে হালকা কিছু খান – একেবারে খালি পেটে ভারী ও তেল-মশলাদার খাবার খেলে পেটের ওপর চাপ পড়ে। তাই জামাই ষষ্ঠীর ভোজের আগে হালকা ফল বা এক গ্লাস লেবু জল পান করে নিলে পেট সজাগ থাকে।
২। পানীয়তেও সতর্কতা – ঠান্ডা পানীয় বা কার্বোনেটেড ড্রিংকস পরিহার করুন। এগুলো পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। এর পরিবর্তে জিরে জল বা পুদিনা জল খাওয়া ভাল।
৩। খাবার চিবিয়ে খান – তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়। প্রতিটি কামড় ধীরে ও ভাল করে চিবিয়ে খেলে তা হজমে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকেও বিরত রাখে।
৪। প্রোবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে – টক দই বা ঘরের তৈরি লস্যি খেলে পেটে ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যা হজম শক্তি বাড়ায়।
৫। খাওয়ার পর হাঁটা – খাবার খেয়ে একদম শুয়ে না পড়ে ১৫–২০ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং অম্বল বা ঢেকুর ওঠার সম্ভাবনা কমে।
৬। হালকা ও সহজপাচ্য রাতের খাবার – দুপুরে অতিরিক্ত খাওয়ার পর রাতে সহজপাচ্য ও কম তেল-মশলা যুক্ত খাবার খান। এক বাটি ভাত, ডাল ও সেদ্ধ সবজি হতে পারে ভালো বিকল্প।
৭। অতিরিক্ত না খাওয়াই সবচেয়ে ভাল উপায় – পরিমিতি বজায় রাখাই হল সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। লোভ সংবরণ করে নিজের শরীর বুঝে খাওয়াই পেট ভালো রাখার মূল চাবিকাঠি।