ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। কারণ এর পরিমাণ বাড়লেই সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। আর তাই ইফরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। আর প্রথম থেকেই তা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তাহলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বেশি জটিল হয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে আর্থ্রাইটিস, গাউট, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এমনকী কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই সঙ্গে ওবেসিটির সমস্যাও আসতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া।
হাইপার ইউরিসেমিয়ার লক্ষণ
জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা
জয়েন্ট ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া
জয়েন্টে লাল জ্বালাভাব এবং ফোলাভাব
জয়েন্টের স্থানের আকারও পরিবর্তন হয়ে যায়। সাধারণ গঠনে পরিবর্তন আসে।
আর তাই রক্তপরীক্ষায় যদি উফরিক অ্যাসিড ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলুন এই সব ঘরোয়া প্রতিকার। কারণ এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল কাজ করে হলুদ। হলুদের গুণ অনেক। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হলুদ যে শুধুমাত্র তরকারির রং ভাল করে এমন একেবারেই নয়। যে কোনও প্রদাহ ঠেকাতে খুবই ভাল কাজ করে হলুদ। আর্থ্রাইটিস রিসার্চ অ্যান্ড থেরাপিতে ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, কারকিউমিন নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর-কাপ্পা বি (এনএফ-কাপ্পা বি) নামের একটি প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। আর এই এনএফ-কাপ্পা বি বাত সহ একাধিক প্রদাহজনিত রোগের কারণ।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন ইউরিক অ্যাসিড?
সব বাড়ির হেঁশেলেই পাওয়া যায় হলুদ। হলুদের মধ্যে যে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা একাধিক ব্যথা সারিয়ে দিতে পারে। আর তাই হলুদ মেশানো দুধ খান। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে একাধিক সমস্যাও দূরে থাকে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে হলুদ দুধের জুড়ি মেলা ভার। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পায়ে যে ফোলা ভাব থাকে তাও কমে যাবে যদি নিয়ম করে দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ঠিক কত পরিমাণ হলুদ খাওয়া ঠিক এই বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারলে ভাল। আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন অস্টিওআর্থারাইটিসের জন্য দিনে তিনবার ৪০০-৬০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।