
হার্টের সবচেয়ে বড় শত্রু কোলেস্টেরল। যে কারণে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। চিকিৎসকেরাও বলেন, কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়লে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার। অনেকেই হয়তো জানেন না, কোলেস্টেরলের মতোই ভয় ধরায় ট্রাইগ্লিসারাইড। কোলেস্টেরলের মতো ট্রাইগ্লিসারাইডও হল এক ধরনের চর্বিযুক্ত পদার্থ, যা রক্তে উপস্থিত থাকে। এই ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের পিছনে দায়ী হতে পারে ট্রাইগ্লিসারাইড।
আজকাল কম বয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছে হৃদরোগে। এর পিছনে দায়ী থাকতে পারে বাড়তি ট্রাইগ্লিসারাইড। শিরায় যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে থাকে, একে হাইপারট্রাইগ্লিসারাইডেমিয়া বলা হয়। এর ফলে হাতে-পায়ে, এমনকি মস্তিষ্কে, হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রক্তে ১৫০ (mg/dL) বা তার কম ট্রাইগ্লিসারাইড থাকার অর্থ, আপনার হার্ট সুরক্ষিত রয়েছে। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ১৫০ থেকে ১৯৯ (mg/dL) হলে সাবধান হওয়া জরুরি। এখান থেকে বিপদ বাড়তে থাকে। যদি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ২০০ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনি বিপদসীমায় রয়েছে। আর ৪০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার অর্থ, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়া। হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও তৈরি হয় যায়।
ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, ধূমপান, অ্যালকোহল, শরীরচর্চায় অনীহা, মানসিক চাপ, ডায়াবেটিসের মতো নানা কারণে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে। এই অবস্থায় রোজ যোগব্যায়াম করুন আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকুন। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়লে কী-কী খাবার এড়িয়ে যাবেন আর কোন খাবারগুলো রোজ খাবেন, জেনে নিন।
ট্রাইগ্লিসারাইডে যা কিছু এড়িয়ে যাবেন
ট্রাইগ্লিসারাইডে যে সব খাবার খাবেন