
৪২ বছরের জিতেন্দ্র পেশায় কৃষক। উত্তর প্রদেশে থাকেন তিনি। সম্প্রতি নিজের অণ্ডকোষ নিয়ে সমস্যা পড়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্যে করছিলেন অণ্ডথলি ফুলে গিয়েছে, ভারী হয়েছে। দিন যত যেতে লাগল জিতেন্দ্রের অস্বস্তি তত বাড়তে লাগল। আবার লোকলজ্জার ভয়ে তিনি চেপে থাকলেন। কিন্তু ব্যথা বাড়তেই আর চেপে থাকা সম্ভব হল না তাঁর পক্ষে। হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন তাঁর হাইড্রোসিলের সমস্যা হয়েছে।
হাইড্রোসিলের সমস্যা জিতেন্দ্রের একার না। প্রতি বছর ভারতে লক্ষাধিক পুরুষ এই সমস্যায় ভোগেন। শিশুদের জন্মের সময় তা বেশি হলেও পরিণত বয়স্ক পুরুষেরও এই সমস্যা হয়। তা হলে কর্মক্ষেত্রে বা বাড়ি সর্বত্রই অস্বতি নিয়ে দিন কাটতে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারের।
হাইড্রোসিল হল ফুলে যায় অণ্ডকোষ। থলির মধ্যে জমে যায় তরল। অণ্ডকোষে প্রদাহ বা আঘাত লাগার জেরে এই সমস্যা হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে, একটি ফোলা অণ্ডকোষের কারণে একটি ভারী অনুভূতি বা অস্বস্তি হতে পারে। এটি সাধারণত ব্যথাহীন, তবে প্রদাহের সাথে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। হাইড্রোসিল হলে অণ্ডকোষের আকারও বেড়ে যায়।
তাই অণ্ডকোষে কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হাইড্রোসিল জননে কোনও প্রভাব ফেলে না। এবং তা বিপজ্জনকও নয়। কিন্তু অস্বস্তি এড়াতে হাইড্রোসিলের চিকিৎসা করানো আবশ্যক।