AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hydronephrosis: কিডনির এই লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাবেন না; জেনে নিন হাইড্রোনেফ্রোসিস রোগ সম্পর্কে

আপনি যদি ঘন ঘন প্রস্রাব করেন এবং প্রস্রাব করার সময় তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে এখনই সতর্ক হন। এটি একটি গুরুতর কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।

Hydronephrosis: কিডনির এই লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাবেন না; জেনে নিন হাইড্রোনেফ্রোসিস রোগ সম্পর্কে
কিডনিকে সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2021 | 12:21 PM
Share

আপনি যদি ঘন ঘন প্রস্রাব করেন এবং প্রস্রাব করার সময় তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে এখনই সতর্ক হন। এটি একটি গুরুতর কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই রোগকে ডাক্তারি ভাষায় হাইড্রোনেফ্রোসিস বলা হয়। এই রোগটি নাকি কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়। সময়মতো চিকিৎসা না করলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই হাইড্রোনেফ্রোসিস রোগটা কী? এর উপসর্গই বা কী? চলুন জানা যাক…

মূত্রনালীর সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনও সমস্যা এই রোগের কারণ হতে পারে। প্রস্রাবের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়, কিন্তু অনেক সময় কোনও সংক্রমণের কারণে প্রস্রাব পুরোপুরি শরীর থেকে বের হয় না। এই ক্ষেত্রে দুটি গ্রন্থিই ঠিকমতো কাজ করে না। যার ফলে প্রস্রাব কিডনিতে জমতে শুরু করে। এখান থেকে তৈরি হয় হাইড্রোনফোসিসের ঝুঁকি। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে এবং সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে কিডনি ফেলিয়র হয়র যায়। এই সমস্যা নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা দিতে পারে।

হাইড্রোনফোসিসের কারণে কিডনিতে প্রস্রাব জমে। এর ফলে কিডনির আকার বাড়তে থাকে। এটি শরীরের অন্যান্য অংশকেও প্রভাবিত করে। এই রোগ যখন বাড়তে থাকে, তখন প্রস্রাব করার সময় পেটে ব্যথা হয়। এই কারণেই অনেকে ঘন ঘন প্রস্রাবের অভিযোগও করতে শুরু করেন। এর সঙ্গে পেট ফাঁপা বা জ্বরের লক্ষণও দেখা দেয়। এই সমস্ত লক্ষণগুলো এই রোগের শুরুতেই দেখা দেয়। তাই সময় মতো তাদের চিনতে হবে এবং চিকিৎসা করাতে হবে।

তবে এমন নয় যে হাইড্রোনফোসিস রোগে আক্রান্ত হলেই এই সব উপসর্গগুলি দেখা দেবে। কিডনিতে পাথর হলেও আপনি এই সব উপসর্গগুলির সম্মুখীন হতে পারেন। এছাড়া যদি প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয় বা প্রস্রাবের সময় দুর্গন্ধ বের হয়, তাহলেও এই ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই সব লক্ষণগুলি যে শুধুমাত্র হাইড্রোনফোসিসের এমনটা নয়। এই লক্ষণগুলি কিডনির যে কোনও সংক্রমণের

কিডনিতে পাথর হলেও এমন উপসর্গ দেখা যায় বলে জানান ডা. এটি পরীক্ষা করার জন্য কিডনি ফাংশন টেস্ট (কেএফটি) এবং আল্ট্রাসাউন্ড করা যেতে পারে। ডাঃ বলেন, এসব উপসর্গ ছাড়াও যদি প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয় বা প্রস্রাবের সময় গন্ধও আসে, তাহলে তার মানে কিডনিতে সংক্রমণ হয়েছে। যা অবিলম্বে চিকিৎসা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি সংক্রান্ত যেকোনও রোগ ও সংক্রমণ এড়াতে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নিন। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস করে জল পান করুন। খাবারে লবণ, চিনি ও তেলের ব্যবহার কম করুন। বছরে অন্তত একবার আপনার কিডনি পরীক্ষা করান।

আরও পড়ুন: শুধু মহিলা নয়, পুরুষরাও আক্রান্ত হন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে!