মল-মূত্র শরীরের বর্জ্য পদার্থ। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত এবং অবশিষ্ট উপাদান শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মূত্র কেমন হচ্ছে, তা দেখে নেন চিকিৎসকরা। শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধলে তার প্রভাব দেখা যায় মূত্রে। তাই মূত্র পরীক্ষা কিছু ক্ষেত্রে আবশ্যক হয়ে পড়ে। কিন্তু সব সময় তো পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। কিন্তু মূত্রের ধরন দেখে আপনিও বুঝতে পারেন শরীরে কোনও অসুবিধা রয়েছে কি না। মূত্রের এই লক্ষণের বিষয়ে জানলে সমস্যার শুরুতেই সতর্ক হতে পারবেন আপনি।
মূত্রত্যাগ করার সময় দেখা যায় অনেক সময় প্রস্রাবে ফেনা হয়। অনেক সময় দ্রুত গতিতে মূত্র ত্যাগ করলেও ফেনা হয়, যা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে বাড়তি চিন্তার কিছু নেই। স্বাভাবিক বেগে মূত্র ত্যাগের পরও যদি দেখেন অতিরিক্ত ফেনা হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই চিন্তার কারণ রয়েছে। যদি ফেনা আর বুদবুদ এক নয়। বুদবুদ জল দিলেই চলে যায়। কিন্তু মূত্রে ফেনা জল দিলেও সহজে যেতে চায় না।
প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা হলে বা ফেনার মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকলে সতর্ক হয়ে যান। তা রোগের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্রাব দিয়ে যখন অতিরিক্ত প্রোটিন বেরিয়ে যায় তখনই এ রকম মাত্রায় ফেনা হয়। যা কিডনি বা বৃক্কের একটি সমস্যা। এ রকম হলে চিকিৎসককে পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করাতে হবে। মূত্রে প্রোটিন আসা স্বাভাবিক নয়। তা এলে বাতাসের সংস্পর্শে ফেনা তৈরি হয়। প্রোটিনের পরিমাণ যত বেশি হবে তত কিডনির ক্ষতি বেশি হবে।