আজ আন্তর্জাতিক ‘নার্সেস ডে’। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রথম সারিতে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নার্স বা সেবিকারা। চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার কর্মযজ্ঞে ব্রতী হয়েছেন তাঁরা। ভুলেছেন নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এমনকি পরিবারও। অনেক নার্স তো দুধের শিশুকেও বাড়িতে ফেলে এসেছেন, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সেবা করবেন বলে। প্রথম সারির এই কোভিড যোদ্ধাদের আজ কুর্নিশ জানানোর দিন। শুধু একদিন নয়, গত একবছর ধরে, কিংবা সবসময়েই নার্সরা আমাদের যে সেবা দিয়ে থাকেন, সেই কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে ২০২১- এর থিম
এবছর এই বিশেষ দিনের থিম Nurses: A Voice to Lead – A Vision for Future Healthcare। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ গোটা বিশ্ব। নভেল করোনাভাইরাসের দাপটে মহামারী পরিস্থিতি সর্বত্র। বসুন্ধরার এই কঠিন পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সেবায় এগিয়ে এসেছে গোটা চিকিৎসামহল। লক্ষ্য একটাই, করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলা। আর এই সেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নার্সরা। অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিডে মৃত্যুও হয়েছেন অনেক নার্সের। কিন্তু তারপরও দায়িত্ব-কর্তব্যে একটু খামতি দেখা দেয়নি। বরং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নার্সরা। নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অন্যের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন তাঁরা। ইউনাইটেড নেশনসের পক্ষ থেকেও টুইটে বিশ্বের সমস্ত নার্সদের আজ কুর্নিশ জানানো হয়েছে।
নার্সেস ডে- র ইতিহাস
১৯৫৩ সালে প্রথম এই দিন সূচনার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা কল্যাণ দফতরের এক এক্সিকিউটিভ ডরথি সুদারল্যান্ড তৎকালীন প্রেসিডেন্ট Dwight D. Eisenhower- এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এই বিশেষ দিন সূচনার উদ্যোগ নেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন দেননি প্রেসিডেন্ট। এরপর ১৯৬৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস ‘আন্তর্জাতিক নার্সেস ডে’- র প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৯৭৪ সালে এই দিন পালনের অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- হেভি পিরিয়ডস: ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অজান্তে বিপদ বাড়ছে না তো?
প্রতি বছর ১২ মে ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে পালন করা হয়। নার্সিং বিষয়টা বললেই যাঁর কথা প্রথমে মনে আসে, সেই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১২ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয় এই বিশেষ দিন।