
অনিয়মিত ঋতুস্রাব মহিলাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওজন এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। আবার কেউ যদি পিসিওডি, থাইরয়েড বা অন্য কোনও রোগে ভোগেন, তাহলেও অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব অর্থাৎ প্রতি ২৮ দিনের ব্যবধানে, নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব হয় না।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সম্মুখীন হলে, ঘন-ঘন মেজাজ পরিবর্তন, ওজন বেড়ে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়া, মুখে অবাঞ্চিত রোম বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারাই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই জীবনধারায় পরিবর্তন এনেই আপনি এই অবস্থাকে বশে রাখতে পারবেন। ওজন কমিয়ে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এবং প্রতিদিন শরীরচর্চা করে আপনি পিরিয়ড সার্কেলকে ঠিক করতে পারবেন। এছাড়াও এমন ৫টি সুপারফুড রয়েছে, যা ডায়েটে রাখলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল: অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাকে দূর করতে কাজে আসতে পারেন ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল। যেমন পাকা পেঁপে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। আনারস শারীরিক প্রদাহ কমায়। তাই পিরিয়ডের সমস্যায় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল হিসেবে আপনি পাকা পেঁপে, আনারস, মুসাম্বি লেবু, কমলালেবু, কিউই ইত্যাদি খেতে পারেন।
আদা: অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় কাজে আসতে পারে আদা। আদা ঋতুস্রাব সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে মধু দিয়ে আদা খান। এতে সময়মতো পিরিয়ড হবে।
হলুদ: হলুদ জরায়ু ও পেলভিক অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসপাস্মোডক এফেক্সট রয়েছে, যা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ঋতুস্রাবের সময় হওয়া তলপেটে ব্যথা, পেশিতে খিঁচুনির সমস্যা দূর করে।
গুড়: অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগলে রোজের ডায়েটে অবশ্যই গুড় রাখুন। এক গ্লাস গরম জলে আদা, হলুদ, তিসির দানা ও ক্যারম বীজের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খান। প্রতিদিন এই পানীয় পান করলে নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব হবে।
বিটরুট: বিটরুট হল আয়রম, ক্যালশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। এই সবজি জল ধারণের ক্ষমতা কমায়। এতে পিরিয়ডের সময় পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া রোজের ডায়েটে এই সবজি রাখলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব সমস্যা এড়ানো যায়। পাশাপাশি রক্তালতার ঝুঁকি কমানো যায়।