ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন লেবুর জলের (Lemon Water) ওপর। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা রোগ প্রতিরোধের (Immune System) ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত লেবুর জল পান করেন। গরমে লেবুর জল পান করার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। লেবুর জলের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ওজন কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতা উন্নত করে, শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ করে, গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। কিন্তু বেশি পরিমাণে লেবুর জল পান করলে শরীরে এর কু-প্রভাবও (Side Effects) পড়ে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, প্রতিনিয়ত লেবুর জল খেলে এর অ্যাসিডিটিক বৈশিষ্ট্য শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। এক নয়, অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই রয়েছে লেবুর জলের।
দাঁতের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে লেবুর জল। প্রতিদিন লেবুর জল পান করলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। এতে দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। লেবুর রসে উপস্থিত অ্যাসিডের কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লেবু অত্যন্ত অ্যাসিডিক হয়, তাই এর বারবার এক্সপোজার আপনার দাঁতের এনামেলকে ক্ষতি করতে পারে। লেবুর জল বা এই জাতীয় যে কোনও জিনিস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দাঁত ব্রাশ করা উচিত এবং অবিলম্বে সাধারণ জল পান করতে ভুলবেন না।
লেবুর জল মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর মতো সাইট্রাস ফলের অতিরিক্ত সেবন মাইগ্রেনের সমস্যাকে হতে পারে। সমীক্ষা অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির আগে থেকেই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে, তবে তাঁকে লেবু খাওয়ার সময় সতর্ক হওয়া উচিত। এটি এখনও প্রমাণিত হয়নি, তবে বছরের পর বছর ধরে গবেষণায় মাইগ্রেন এবং সাইট্রাস ফলের মধ্যে একটি লিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। লেবুতে টাইরামিন বেশি থাকে। একটি প্রাকৃতিক মনোমাইন। এটাই মাথা ব্যথার সমস্যা তৈরি করে। আর এই উপাদানটি অন্যান্য ফলের তুলনায় লেবুতে বেশি পাওয়া যায়।
অম্বল এবং আলসারের মত সমস্যাও তৈরি হতে পারে লেবুর জলে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, লেবুর জল অতিরিক্ত সেবনে বুক জ্বালার সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ এটি প্রোটিন-ব্রেকিং এনজাইম পেপসিনকে সক্রিয় করে। অতিরিক্ত লেবুর জল পান করার কারণে পেপটিক আলসারের অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। অতিরিক্ত অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্যের কারণে পেটে আলসার হয়। এই অবস্থায় আরও বেশি করে লেবুর রস খেলে অবস্থা আরও বিপজ্জনক হতে পারে। আপনি যদি এই রোগগুলি নিয়ে বিরক্ত হন তবে লেবুর জল পান করার আগে বিশেষজ্ঞের মতামত নিন।