Night Shift: ইউএস ক্লায়েন্ট, রাত জেগে চলে অফিস? নাইট শিফটে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, দাবি গবেষণার

Metabolic Disorder: দীর্ঘদিন ধরে নাইট শিফটে কাজ করার ফলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস-অম্বল রোগের সঙ্গী হয়ে যায়। পাশাপাশি বাড়তে থাকে ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি। রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক থাকে না। যার জেরে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। এছাড়া ওজন বাড়তে থাকে।

Night Shift: ইউএস ক্লায়েন্ট, রাত জেগে চলে অফিস? নাইট শিফটে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, দাবি গবেষণার

|

May 11, 2024 | 11:22 AM

আইটি সেক্টর হোক বা কল সেন্টার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে শহরের অনেক অফিসেই রাত জেগে কাজ চলে। কিছু কিছু মানুষ মাসের পর মাস নাইট শিফট করে যাচ্ছেন। সকালে বাড়ি ফিরে দিব্যি ঘুম দিচ্ছেন। সারাবেলা বাড়ির বিভিন্ন কাজ করছেন। আবার সূর্য ডুব দিলেই অফিসে লগ-ইন করছেন। ভাবছেন সুস্থ আছেন, ফিট আছেন। কিন্তু আপনার এই ভাবনা ভেঙে দিল ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা। পর পর তিন দিন নাইট শিফটে কাজ করে ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো আরও অন্যান্য মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি বেড়ে যায়—এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা।

নাইট শিফটের জেরে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী প্রোটিনের ছন্দপতন ঘটতে পারে। এটি এনার্জি মেটাবলিজমকে ক্ষতি করে। এর জেরে দেহে প্রদাহ তৈরি হয় এবং একাধিক মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জার্নাল অফ প্রোটিওম রিসার্চে প্রকাশিত ওই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নাইট শিফটে কাজ করার ফলে দেহে ডায়াবাটিস ও ওবেসিটির ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে নাইট শিফটে কাজ করার ফলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস-অম্বল রোগের সঙ্গী হয়ে যায়। পাশাপাশি বাড়তে থাকে ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি। রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক থাকে না। যার জেরে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। এছাড়া ওজন বাড়তে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি প্রতিদিন নাইট শিফটে কাজ করে তাদের দেহে প্রোটিন পরিবর্তন হয়। এই প্রোটিন গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রোটিনের ছন্দপতনের জেরে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের কাজে বাধা তৈরি হয়। পাশাপাশি ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং এখান থেকে তৈরি হয় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।

মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয় নাইট শিফটে কাজ করার ফলে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। কাজ করার এনার্জিও মেলে না। ঘুমের চক্রও ব্যাহত হয়। দেহে ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয় এবং এর জেরে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মেও বাধা তৈরি হয়। কিন্তু আপনি অফিস ছাড়তে পারবেন না। আপনাকে নাইট শিফটের মাধ্যমেই সুস্থ থাকতে হয়।

রোজ নাইট শিফটে কাজ করলে মাথাব্যথা, ডিহাইড্রেশন, বার্নআউটের সমস্যা খুব কমন। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। রাতে কাজ করলে দিনের বেলা যাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। ডায়েটের সঙ্গে কোনও আপোষ নয়। বাদাম, শাকসবজি, ফল, দানাশস্য বেশি করে রাখুন খাবার পাতে। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিন। তবে, জেগে থাকার জন্য কফি খাবেন না। বরং, স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন।