দীর্ঘকাল ধরে নারীর গোপনাঙ্গ নিয়ে আলোচনা করাতে ছুৎমার্গ ছিল। কিন্তু ইদানীং সে সব বাধা অনেকটাই কেটেছে৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন আমাদের দেশে এখনও মেয়েরা যোনির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়ে তেমন চিন্তাভাবনা করেন নায ফলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। ভ্যাজাইনা বা যোনির স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বাড়িতেই মেনে চলতে পারেন এই সব নিয়ম। তাতে যোনির পরিচ্ছন্নতা যেমন রক্ষিত হবে, তেমনই রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না৷
যোনিকে আরামে রাখতে সুতির অন্তর্বাস পরুন। বিশেষ করে গরমকালে। যাঁরা থং পরতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্যও একই নিয়ম। অন্তর্বাস প্রতিদিন, পারলে দিনে দু’বার বদলান। প্রতিবার মূত্রত্যাগের পর ভ্যাজাইনা ধুয়ে মুছে নিতে পারলে খুব ভালো হয়। মোছার সময় সামনে থেকে পিছনের দিকে টিস্যু নিয়ে যান, ভুলেও উল্টোটা করবেন না। যদি সাঁতার কাটার অভ্যাস থাকে তাহলে জল থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সাঁতারের পোশাক ছেড়ে ফেলুন, তাতে যোনিতে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমবে। এর পাশাপাশি প্রচুর জল খান সারাদিনে। সুস্থ থাকার জন্য যোনি আর্দ্র রাখাও প্রয়োজন। তাতে দুর্গন্ধও কমবে।
দই খান নিয়ম করে। দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজাইনার পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক। রোজের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি, সাইট্রাস ফল রাখবেন অবশ্যই। আয়রনযুক্ত শাকসবজি সারা শরীরের পাশাপাশি ভ্যাজাইনাতেও রক্ত সংবাহন বাড়ায়, তাতে আর্দ্রতা বজায় থাকে। লেবুজাতীয় ফলের ভিটামিন সি বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা। ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে ক্র্যানবেরি জুস খুব কার্যকর। যাঁরা ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশনে ভোগেন, তাঁদের পক্ষেও ক্র্যানবেরি জ্যুস ভালো। নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করলে শক্তিশালী ও সুস্থ হবে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গের সমস্ত পেশি। তাতে নাকি অরগ্যাজমও হয় চমৎকার!