জেনেটাইল হারপিস, রোগটা আসলে কী? জানলে আঁতকে উঠবেন

জেনেটাইল হারপিস মূলত যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ, মুখ বা ত্বকের সংস্পর্শে এলেই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে – এমনকি যদি লক্ষণ না-ও দেখা যায় তখনও। মুখমেহ বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমেও HSV-1 থেকে জেনেটাইল এলাকায় সংক্রমণ হতে পারে।

জেনেটাইল হারপিস, রোগটা আসলে কী? জানলে আঁতকে উঠবেন

Jul 31, 2025 | 9:55 PM

জেনেটাইল হারপিস একটি যৌনবাহিত রোগ (STD), যা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (Herpes Simplex Virus বা HSV)-এর কারণে হয়। এটি প্রধানত HSV-2 ভাইরাস দ্বারা হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই HSV-1 ভাইরাসও দায়ী হতে পারে, যা সাধারণত মুখের আশেপাশে ঠোঁটের হারপিস সৃষ্টি করে।

কেন হয়?

জেনেটাইল হারপিস মূলত যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ, মুখ বা ত্বকের সংস্পর্শে এলেই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে – এমনকি যদি লক্ষণ না-ও দেখা যায় তখনও। মুখমেহ বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমেও HSV-1 থেকে জেনেটাইল এলাকায় সংক্রমণ হতে পারে।

হলে কী হয়?

জেনেটাইল হারপিসের লক্ষণ অনেক সময় খুবই মৃদু থাকে বা একেবারেই দেখা যায় না। তবে যখন দেখা যায়, সাধারণত কিছু উপসর্গ দেখা দেয় –

১। যৌনাঙ্গ, পশ্চাৎদেশ বা উরুর আশেপাশে ফুসকুড়ি, ফোসকা বা ব্যথাযুক্ত ঘা।

২। হালকা জ্বর, ক্লান্তি ও পেশিতে ব্যথা।

৩। প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা অস্বস্তি।

৪। কখনও কুঁচকির লিম্ফ গ্রন্থি ফুলে যায়।

৫। প্রথমবার হলে উপসর্গগুলো বেশি তীব্র হয়, পরেরবার অপেক্ষাকৃত হালকা হতে পারে।

কী করবেন?

জেনেটাইল হারপিসের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিছু করণীয়:

অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ (যেমন অ্যাসাইক্লোভির, ভ্যালাসাইক্লোভির): উপসর্গ কমাতে ও ভাইরাসের সক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে: ঘা পরিষ্কার ও শুকনো রাখা, নরম পোশাক পরা।

যোগাযোগ বন্ধ: উপসর্গ থাকা অবস্থায় যৌনসংগম এড়ানো উচিত যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।

পার্টনারকে জানানো: একজনের থাকলে অন্যজনের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

সতর্কতা ও প্রতিরোধ:
কনডম ব্যবহার কিছুটা সুরক্ষা দেয়, তবে ১০০% নয়।

একাধিক পার্টনারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকলে নিয়মিত STD পরীক্ষা করানো উচিত।

উপসর্গ না থাকলেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তাই সতর্কতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

জেনেটাইল হারপিস ভয়ংকর নয়, তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যা যত্ন ও সচেতনতা ছাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। শরীর ও সম্পর্ক—দু’টোরই সুস্থতার জন্য সময়মতো চিকিৎসা ও সতর্কতাই প্রধান।