শীতকালীন বেগুন (Eggplant) খেতে ভাল হলেও এখন সারা বছরই দেখা মেলে এই সবজি। আর এখন ভাজাতেই আটকে নেই বাঙালির বেগুন ভোজন। বেগুন পোড়া, বেগুনি তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ইলিশ দিয়ে বেগুনের ঝাল থেকে শুরু করে বেগুন পাতুরির মতো নানা পদ। আর দিনের শেষে রুটি খাওয়ার কোনও তরকারি মাথায় না এলে আলু দিয়েই বেগুনের ঝাল রেঁধে ফেলেন অনেকেই। সুতরাং, পরিস্থিতি যেমনই হোক মধ্যবিত্তের হেঁশেলে সব সময় থাকে বেগুন (Vegetables)। তবে স্বাদের মধ্যেই আটকে নেই বেগুন। এখন শরীরের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতেও বেগুনের জুড়ি মেলা ভার। মূলত মেদ ঝরাতে (Weight Loss) দারুণ কার্যকর এই সবজি।
বেগুন প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলে পরিপূর্ণ। এতে কার্বোহাইড্রেট ও জলীয় অংশ বেশি পরিমাণে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুন ২৫ কিলো ক্যালোরি এনার্জির জোগান দেয়। এতে ৫.৮৮ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ০.১৮ গ্রাম চর্বি থাকে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা নিয়ম করে এই সবজিকে পাতে রাখতে পারেন।
আসলে, আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বেগুন। তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে গ্লাইকোল-অ্যালকালয়েড-ও। এমনিতে এই সবজিটি বিভিন্ন ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
এখানেই শেষ নয়, বেগুনের মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এই ফাইবার শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আসলে ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদানটি পেট পরিষ্কার করে দেয়। বিপাক হারকে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সহজেই ওজন কমে। তাছাড়া বেগুন হল সহজপাচ্য। তাই বেগুনের তরকারি খেলে খুব একটা হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এমনিতেও এই সবজির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। সব মিলিয়ে এই সবজিটি ওজনের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
তবে বেগুনের অন্যান্য গুণাগুণগুলো এড়িয়ে গেলে চলবে না। বেগুনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, ই এবং কে রয়েছে। এগুলো শরীরের ভিন্ন অংশের কার্য সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বেগুনের মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।