নভেম্বর মাস পরে গিয়েছে, তারই সঙ্গে আবহাওয়া বদলাতো শুরু করেছে। সূর্য ডুবলেই একটা ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ চারপাশে। শীত এসে যেন কড়া নাড়ছে দরজায়। চরম শীতের হাত থেকে বাঁচতে তাই অনেকেই ভরসা রাখেন রুম হিটারের উপরে। বিশেষ করে বাড়িতে যদি প্রবীণ ব্য়ক্তি কেউ থাকেন তাহলে তার ঘরে একটা রুম হিটার লাগানোর কথা ভাবেন অনেকেই। তবে রুম হিটার চালিয়ে ঘর গরম করে রাখা কি আদৌ স্বাস্থ্য সম্মত? এতে কী ক্ষতি হয় জানেন?
১। হিটারের ভিতরে নানা ধরনের ধাতব ও সিরামিক উপাদান থাকে। যা বিদ্যুতের সাহায্যে গরম করে তাপ উৎপন্ন করা হয়। এর ফলে সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা যায় কমে। আবার অনেক সময় বাতাসের অক্সিজেন দহন করে হিটার। ফলে হিটার সংলগ্ন অঞ্চলের বাতাসে আর্দ্রতা ও অক্সিজেন কমে যায়। শীতকাল এমনিতেই শুষ্ক। হিটার বেশি চললে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবার অক্সিজেনের অভাবে দেখা দিতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট, মাথা ধরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
২। হ্যালোজেন হিটারগুলি থেকে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। যা হাঁপানি বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।
৩। ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের সমস্যা থাকলেও রুম হিটারের থেকে দূরে থাকাই ভাল। হিটার থেকে নির্গত বাতাসে ফুসফুসের সমস্যা ও শ্বাসনালীতে প্রদাহ হতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে একান্তই যদি রুম হিটার চালাতে হয় তাহলে সাধারণ হিটারের বদলে অয়েল হিটার ব্যবহার করতে পারেন।
৪। গ্যাসের হিটার ব্যবহার না করাই ভাল। এই হিটার থেকে কার্বন মোনোঅক্সাইড নির্গত হয়। যা শিশু, বয়স্ক এবং হাঁপানির রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।