
মহিলাদের অনেক সময় অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে পিসিওএস, থাইরয়েড ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্রশ্ন হল কেন অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা যায়? শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েডের কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন মানসিক চাপ, বার্ধক্য, অথবা হরমোনের ব্যাধি।
কেন হয় অনিয়মিত পিরিয়ডস?
পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম) -এ, ডিম্বাশয়ে অল্প সংখ্যক সিস্ট তৈরি হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়। এছাড়াও, এই অবস্থায় অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি এবং ত্বক সম্পর্কিত নানা সমস্যাও দেখা যায়।
অতিরিক্ত চাপ, অনিয়মিত ঘুম, অতিরিক্ত ব্যায়াম, অথবা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও মাসিক চক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধিও একটি প্রধান কারণ হতে পারে। অনেক সময় খুব বেশি গর্ভনিরোধক খেলেও এই সমস্যা হতে পারে।
কী করবেন এই সময়ে?
অনিয়মিত পিরিয়ড হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। মাসিকের সময়ে হেরফের হয়। মাসে দুবার পিরিয়ডস হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে বেশি পিরিয়ডস হয়, আবার কারও ক্ষেত্রে কম পিরিয়ডস হয়। কিছু মহিলা তাদের পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথাও অনুভব করেন। এইসব ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ করা উচিত।
রোজের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবার দাবার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম করা, ভালো ঘুম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমাতে, ধ্যান করতে পারেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। ভেষজ চা পান করতে পারেন।