World AIDS Day: মারণ এইডসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জানেন? আগাম সতর্ক না হলেই বিপদ

এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও ছড়িয়ে দিতেই প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্যই হল এই মারণ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা ও চিকিত্‍সা-প্রতিরোধ পরিষেবাগুলি যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, তা লক্ষ্য করা।

World AIDS Day: মারণ এইডসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জানেন? আগাম সতর্ক না হলেই বিপদ
আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় এইডস দিবস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 7:22 AM

বর্তমান সময়ে একটি মারাত্মক রোগ হল এইডস (acquired immune deficiency syndrome)। ইডস বা এইচআইভি “মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস” নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণ সমষ্টি। আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় এইডস দিবস। এই রোগ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্যই এই দিন পালন করা হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। যার জেরে একজন এইডস রোগীর খুব সহজেই যে কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে ওই রোগীর।

সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর মারণ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা কোনও শারীরিক সমস্যা ছাড়াই এই মারণ রোগ শরীরে জাঁকিয়ে বসে। অসুরক্ষিত যৌনজীবন, ওরাল সেক্স, আক্রান্তের রক্ত শরীরে যাওয়া, বাবা-মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে রক্তের মাধ্যমে এইডস হতে পারে। ১৯৮১ সালে প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে বলে জানা যায়। রিপোর্ট অনুসারে, উনবিংশ শতকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকা থেকে এই রোগ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের দীর্ঘতর এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধার ব্যবসথা করা হলেও বছরের পর বছর ধরে এইচআইভি সংক্রমণ আরও অনিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কারণ এর কোনও নিরাময়ের কোনও সঠিক চিকিত্‍সা ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার আজ পর্যন্ত হয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা গিয়েছে। ২০২০ সালে, ৬৮হাজার মানুষ এইচআইভি-সম্পর্কিত কারণে মারা গিয়েছিল। প্রতি বছর নতুন করে আরও ১৮ লাখের মতো মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্যই হল এই মারণ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা ও চিকিত্‍সা-প্রতিরোধ পরিষেবাগুলি যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, তা লক্ষ্য করা।

প্রাথমিক লক্ষণ

আগেই বলা রাখা দরকার, এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। একই বাতাসে নিশ্বাস নিলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে, চুম্বন খেলে, একই পাত্রে খাবার খেলে, জল খেলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার করলে, তার ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলে কেউ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হোন না। তবে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী তা জেনে রাখা ভাল।

এই রোগের পূর্বাভাস হিসেবে কারোর কারোর জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গলা ব্যথার মতো ফ্লুর মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়। আবার ওই লক্ষণগুলি সাধারণত সংক্রমণের এক বা দুই মাসের মধ্যে দেখা যায়। আবার অনেকের টানা দুই সপ্তাহ ধরেও হতে পারে।

এইচআইভির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে কোনগুলি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, তা দেখে নিন একনজরে…

– জ্বর

– গলা ব্যথা

– জয়েন্টে বা গাঁটে ব্যথা

– রাতের দিকে ঘাম হওয়া

– ডায়েরিয়া

– শারীরিক উন্নতি দেখা দিলেও এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি দুর্বল ইমিউন সিস্টেম তৈরি করা হয়।

– যে সংক্রমণগুলি একসময় ছোট ছিল, যেমন মুখের মধ্যে ক্যানকার ঘা, বা দাঁতের ফোড়া বা গহ্বর, উল্লেখযোগ্য ব্যথা হতে পারে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার করা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

– বার বার ছোটখাটো সংক্রমণ যেমন সর্দি বা কাশির মতো উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে।

– দীর্ঘ সময়ের জন্য অসুস্থতাও দেখা যেতে পারে।

– মহিলাদের ক্ষেত্রে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের দিকে নজর রাখা দরকার। বেশ কিছুদিন ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় যদি রক্তক্ষরণ কম হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে আপনাকে।

– এক সপ্তাহ ধরে কিংবা কয়েক মাস ধরে যদি পেটের গন্ডগোলে ভুগতে থাকেন, তাহলে সাবধান।

– চোখ, নাক, মুখ, পিঠ, গলায় যদি লাল, গোলাপী, কালো রঙের র‌্যাশ বেরোতে শুরু করে, তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

– দিনের পর দিন যদি ওজন কমতে শুরু করে, তাহলে সাবধানে থাকুন।

– চার সপ্তাহের বেশি যদি জ্বর থাকে, তাহলে অবহেলা করবেন না। পাশাপাশি প্রতিদিনই যদি ঘুসঘুসে জ্বর থাকে দিনের বেলায়, আর রাতে ঘাম হয়, তাহলে সাবধান।

আরও পড়ুন: Cashew: কাজুবাদাম ভাল, কিন্তু কাদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়, জানেন না অনেকেই!