
কোভিড চলে গেছে বহুদিন। বলা ভাল কোভিডের ভয় চলে গেছে। কিন্তু সেই সময় তৈরি হওয়া কিছু অভ্যাস আজও ছেড়ে যায়নি আমাদের। তার মধ্যে একটি হল স্যানিটাইজারের ব্যবহার। অনেকেই আছেন যারা রাস্তাঘাটে বা যে কোনও সময়ে হাতের ধুলো-ময়লা না ধুয়ে সরাসরি স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। আপনি হয়তো বলবেন এই অভ্যাস তো ভাল। এতে বেসিক হাইজিন বজায় থাকে। কিন্তু আদপেই কি তাই? বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে কী ক্ষতই হয় জানেন?
১. ত্বকের উপর রাসায়নিকের প্রভাব –
স্যানিটাইজারে সাধারণত ৬০-৭০% অ্যালকোহল, ট্রাইক্লোসান, পারফিউম ও অন্যান্য কেমিক্যাল থাকে। হাতে ধুলো, ময়লা, তেল বা ঘাম লেগে থাকে, এবং আপনি সেগুলি না ধুয়ে স্যানিটাইজার লাগান, তাহলে সেই ময়লার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে ত্বকে জ্বালা, র্যাশ বা অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।
২. ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়
স্যানিটাইজার অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকের স্বাভাবিক তেল বেরিয়ে যায়। এতে হাত হয়ে যায় শুষ্ক, রুক্ষ ও খসখসে। বিশেষ করে ধুলোময়লা না ধুয়ে লাগালে এর ক্ষতিকর প্রভাব আরও বেশি হয়।
৩. ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
ধুলো-ময়লার মধ্যে থাকা কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াও আমাদের শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। খালি হাতে স্যানিটাইজার লাগালে এই সব ব্যাকটেরিয়াও মারা যায়, যার ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
৪. চামড়ায় ইনফেকশন বা ছত্রাক হতে পারে
গরমে ঘাম বা তেলতেলে হাতে স্যানিটাইজার দিলে, তা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দিয়ে ইনফেকশন বা ছত্রাক জন্মাতে পারে। অনেকে ফোস্কা, ফুসকুড়ি বা কালো দাগের সমস্যায় ভোগেন।
৫. স্যানিটাইজার কার্যকারিতাই কমে যায়
হাত নোংরা থাকলে স্যানিটাইজার ময়লা ভেদ করে সরাসরি জীবাণুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে জীবাণুনাশ করার কাজটাই পুরোপুরি হয় না।
৬. চোখে বা মুখে যেতে পারে কেমিক্যাল
স্যানিটাইজার লাগানোর পর হাত না ধুয়ে মুখে বা চোখে হাত দিলে, কেমিক্যাল শরীরে প্রবেশ করে চোখে জ্বালা, মুখে গন্ধ বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
৭. শিশু ও সংবেদনশীল ত্বকে বিপদ আরও বেশি
শিশুদের ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল। ধুলো-ময়লা হাতে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার মারাত্মক র্যাশ, চুলকানি বা চর্মরোগ তৈরি করতে পারে।