মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভাত ছেড়েছেন অনেকেই। বদলে রুটিই খাচ্ছেন দু’বেলা। তবে তা কি আদোও ভাল? রুটি খেলেও কীসের রুটি খাওয়া ভাল? জানুন বিশদে।
আটার রুটির গুণ – সাধারণত প্রায় ৮৫-৯০% বাড়িতেই গম থেকে তৈরি আটা দিয়েই রুটি বানানো হয়। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি হজমে সাহায্য করে। পুষ্টিমূল্য বাড়াতে আটা মাখার সময় মিশিয়ে দিতে পারেন ছানার জল। এর মধ্যে থাকা ওয়ে প্রোটিন আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো।
গমের আটার তৈরি ১টি রুটিতে (২০ গ্রাম) ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬৬.৪ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ২.৬২ গ্রাম ফাইবার থাকে। ওজন কমানোর ডায়েটে থাকলে পরিমাণ বুঝেশুনে খান।
জোয়ারের রুটি – এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ডায়াবেটিক বা প্রি ডায়াবেটিক, তাঁরা এটি খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ভালো রাখে। বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
বাজরার রুটি – বাজরা ফাইবার, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে সমৃদ্ধ। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হজমের সমস্যা দূর করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা থাকলে এই রুটি খাওয়া উচিত নয়।
রাগির রুটি – রাগিতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ই, সি যা ত্বক ও চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ নির্গত করে। রয়েছে জিঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়াম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, জ্বর, প্রদাহ প্রতিহত করে।
ডাল বা ছাতুর রুটি – ডালে ভেষজ প্রোটিনের পরিমাণ খুব বেশি। যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের শরীরের পক্ষে এটি ভালো। তবে এতে রয়েছে ৬০% কার্বোহাইড্রেট। তাই বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।