
গোটা দক্ষিণ ভারত এই মুহূর্তে কাঁপছে একটি রোগে। বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরালা থেকে বাকি দক্ষিণের রাজ্যগুলির একাধিক অংশে বার্ড ফ্লুর ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। ছড়িয়েছে আতঙ্কও। বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও। কিন্তু প্রশ্ন হল কী ভাবে বুঝবেন আপানিও এই রোগে আক্রান্ত? কোন উপসর্গ দেখলেই সাবধান হবেন? বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।
বার্ড ফ্লু কী ?
বার্ড ফ্লু এক ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রাথমিকভাবে পাখিদের বা আরও ভালভাবে বললে মুরগির মধ্যে সংক্রমিত হয়। এই পাখির সংস্পর্শে এলে কুকুর-বিড়াল বা অনান্য পশুরাও এই রোগে সংক্রমিত হতে পারে।
এমনকি কখনও কখনও মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। H5N1 স্ট্রেনটিতে আক্রান্ত হওয়া মানুষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ। কখন কখনও তা গুরুতর অসুস্থতার কারণ হিসেবে পরিচিত হতে পারে।
কী ভাবে বুঝবেন আপনি আক্রান্ত?
সংক্রমিত পাখি, তাদের বিষ্ঠা বা দূষিত পৃষ্ঠের সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই রোগে সংক্রমণের লক্ষণ প্রাথমিকভাবে নিয়মিত ফ্লুর মতোই। সময়ের সঙ্গে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে – তীব্র জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, পেশিতে পেশিতে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট উল্লেখযোগ্য।
চিকিৎসকরা জানান, কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়া, শ্বাসযন্ত্রের ফেলিওরের কারণ হতে পারে যা কোনও মানুষকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে। সাধারণত সংক্রমিত পাখির সংস্পর্শে আসার ২-১০ দিন পরে এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়।
যদিও বার্ড ফ্লুর কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবু প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা লক্ষণগুলি অনুসারে চিকিৎসা করা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এই সময় খুবই প্রয়োজনীয়।