Urine: দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যেস? কোন ভয়ানক বিপদকে ডেকে আনছেন জানেন?

Urine Infections: প্রস্রাব চেপে রাখা অনেকের অজান্তেই অভ্যাসে পরিণত হয়। কাজের ব্যস্ততা, বাইরে টয়লেট না পাওয়া, কিংবা অন্য কোনও কারণে অনেকেই দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কারণ যাই হোক না কেন এই অভ্যাস মোটেও ভাল কথা নয়।

Urine: দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যেস? কোন ভয়ানক বিপদকে ডেকে আনছেন জানেন?

Aug 20, 2025 | 7:25 PM

প্রস্রাব চেপে রাখা অনেকের অজান্তেই অভ্যাসে পরিণত হয়। কাজের ব্যস্ততা, বাইরে টয়লেট না পাওয়া, কিংবা অন্য কোনও কারণে অনেকেই দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কারণ যাই হোক না কেন এই অভ্যাস মোটেও ভাল কথা নয়। বারবার এমনটা করলে শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে অত্যন্ত কুপ্রভাব পড়তে পারে কিডনির উপরে। কী হয় জানেন?

১. প্রস্রাব চেপে রাখলে কী হয়?

প্রস্রাব শরীরের জলের সঙ্গে শরীরের বর্জ্য বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় আটকে রাখলে মূত্রথলি (bladder) অতিরিক্ত প্রসারিত হয়ে যায়। ফলে এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রস্রাব জমে থাকার কারণে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

২. মূত্রথলির উপর প্রভাব

প্রস্রাব চেপে রাখার কারণে মূত্রথলি বারবার প্রসারিত হলে এর পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব সম্পূর্ণভাবে বের করতে অসুবিধা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারার সমস্যাও (urinary incontinence) দেখা দেয়।

৩. ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)

দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে জীবাণু মূত্রনালীতে বাড়তে থাকে। এর ফলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়। লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ, পেটের নিচে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দেয়। গর্ভবতী নারী ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।

৪. কিডনির উপর প্রভাব

প্রস্রাব চেপে রাখলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় কিডনিতে। মূত্রথলিতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হলে প্রস্রাব বিপরীত দিকে কিডনির দিকে উঠতে পারে (vesicoureteral reflux)। এর ফলে কিডনিতে সংক্রমণ হয়, যা বারবার হলে কিডনি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকিও বাড়ে।

৫. পাথর হওয়ার ঝুঁকি

প্রস্রাব জমে থাকার কারণে শরীরের বর্জ্য পদার্থ ও খনিজ পদার্থ সময়মতো বের হয় না। এতে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায় এবং কিডনিতে বা মূত্রথলিতে পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।