যে কোনও খাবার হজম করার জন্য আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় কিছু এনজাইম থাকে। তেমনই দুধ হজম করার জন্যেও প্রয়োজনীয় উৎসেচক থাকে। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের দুধ কিছুতেই হজম হতে চায় না। জন্ম থেকেই তাঁদের এই সমস্যা থেকে যায়। অনেকে বুঝতে পারেন আবার অনেকে পারেন না। এক বছর বয়স থেকেই এই সমস্যা প্রকট হয়। যাংদের দুধ হজম করতে অসুবিধা হয় তাঁদের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ৯০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। দুধ খেলে যদি পেট ব্যথা, ফোলা ভাব, বমি, বদহজমের সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার দুধ হজম করতে সমস্যা রয়েছে। অন্য দেশের চাইতে আমাদের দেশে এই সমস্যা অনেকটা বেশি। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে গ্যাস্ট্রোস্কোপি আর অন্ত্রের বায়োপসির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় ওই ব্যক্তির শরীরে কতটা ইনটলারেন্স রয়েছে। সেই অনুযায়ী তাঁদের দুধ খেতে বলা হয়। দুধের মঘ্যে ভিটামিন ডি আর ক্যালশিয়াম দুই থাকে। এবার দুধ খাওয়া বন্ধ করলে শরীরে এই উপাদানগুলিও ঠিকমতো পৌঁছয় না। সেখান থেকে তখন একাধিক সমস্যা আসতেই পারে। আর তাই যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স ধরা পড়ে তাহলে কিছু জিনিস মাথায় রেখে চলতেই হবে।
দুধ একদম এড়িয়ে চলাই ভাল। জোর করেও দুধ খাওয়াবেন না। অনেকের সমস্যা অল্প থাকে তাই দুধ খেলেও সমস্যা ততটা জোরদার হয় না। কিন্তু এই দুধ খাওয়া একেবারেই চলবে না। এমনকী সন্দেশ, ছানা, পনির এসবও বাদ রাখতে হবে রোজকার ডায়েট থেকে।
যাদের ছোট থেকেই এই সমস্যা রয়েছে তাকা দুধ ছাড়া অন্য কোনও খাবার খান। এটা শৈশব থেকেই অভ্যাস করাতে হবে।
পরবর্তীতে সমস্যা মিটলে দিনে এক কাপের বেশি দুধ খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
তবে টকদই আর চিজ চলতে পারে। সেক্ষেত্রে মেপে খাবার খেতে হবে।
ভারতে এই সমস্যা খুবই সাধারণ হিসেবে ধরা হয় এর ঠিকমতো চিকিৎসাও করা হয় না। যে কারণে দুধ আর দুগ্ধজাত খাবার থেকে একেবারেই দূরে থাকতে হবে। অনেকেই এই সমস্যাকে IBS-বলে ধরে নেন। কিন্তু এই দুধ অসুখ সম্পূর্ণ ভিন্ন। চেষ্টা করুন প্রথম থেকেই সতর্ক থাকার আর খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার।