
এই সবজিটি অনেকেই হেলাফেলা করেন, গরমের দিনে বেশি পাওয়া যায় বলে খেতেও বিরক্ত হন। তবে ঢ্যাঁড়শের মধ্যে যা গুণ রয়েছে তা আর অন্য কোনও সবজির মধ্যে নেই। ঢ্যাঁড়শের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও আছে খনিজ আর ফাইবার। আর ঢ্যাড়শের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। যে কারণে ঢ্যাঁড়শ গরমে এত বেশি উপকারী। সাধারণত সবুজ ঢ্যাঁড়শই বাজারে বিক্রি হয়। তবে আমাদের দেশে আরও একরকম ঢ্যাঁড়শ চাষ হয় যার রং লাল। এই ঢ্যাঁড়শ কুমকুম ভিন্ডি নামে পরিচিত। তবে জানেন কি এই লাল ঢ্যাঁড়শ রান্না করার পর একদম সবুজ হয়ে যায়! উপকারিতার দিকে কে বেশি এগিয়ে জেনে রাখুন আজই।
ঢ্যাঁড়শের পুষ্টিগুণ অনেক। এনসিবিআই (রেফ)এর গবেষণায় বলা হয়েছে ঢ্যাঁড়শের মধ্যে থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার। এ ছাড়াও থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, সোডিয়াম ও আয়রন। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়াও ঢ্যাঁড়শের মধ্যে অনেকটা জল থাকে। যা শরীরের নানা কাজে লাগে। বিশেষত ঢ্যাঁড়শের মধ্যে থাকে লেকটিন- যা ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ক্যানসার টিউমারের বৃদ্ধি রুখে দেয় এই উপাদান। দেখা গিয়েছে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে তা ফুসফুসের ক্যানসার, অগ্ন্যাশয়, স্তন ক্যানসার, লিউকোমিয়া, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, প্রোস্টেট, কিডনি ক্যানসার, মূত্রাশয়ের ক্যানসার, মাথা ও ঘাড়, থাইরয়েড, ব্রেন ট্রিউমার এবং জরায়ুর ক্যানসারের জন্য খুবই উপকারী।
ঢ্যাঁড়শ আমাদের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ঢ্যাঁড়শ। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যাঁদের হাইব্লাডপ্রেসার রয়েছে তাঁরা রোজ লাল ঢ্যাঁড়শ খেতে পারলে খুবই ভাল। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট অ্যারিথমিয়া, হার্ট ফেইলিওর, ভালভের রোগের ঝুঁকি কমায় ঢ্যাঁড়শ।
ঢ্যাঁড়শের মধ্যে ভিটামিন বি৯ অনেকটা পরিমাণে থাকে। যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই ভাল। তাই রক্তাল্পতা, শ্বাসকষ্ট, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিতে ভুগলে অবশ্যই রোজদিন পাতে রাখুন ঢ্যাঁড়শ। লাল ঢ্যাঁড়শ পেলে তো কথাই নেই।