
ফ্যাটি লিভার দুরকমের হয়। অ্যালকোহলিক আর নন অ্যালকোহলিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সংখ্যাই বেশি হয়। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, লাইফস্টাইল নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত না হলে তখনই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়। নিয়ন্ত্রণে রাখলে ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ণ ভাবে সেরে যায়। তবে নিজে সচেতন না হলেই মুশকিল। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন মত ওষুধ না খেলে, প্রয়োজনীয় টেস্ট না করলে পরবর্তীতে সিরোসিস অফ লিভারের সম্ভাবনা থেকে যায়। এতে লিভারের ক্ষতি হয়। লিভারে পুরু স্তরে চর্বি জমে বলেই ফোলাভাব দেখা যায়। লিভার মেরামত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল প্রোটিন। প্রোটিন লিভারের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর তাই প্রাণীজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তবে চাহিদামতো প্রোটিন খেতে হবে।
লিভারে সমস্যা হলে প্রোটিন ঠিক ভাবে হজম করা যায় না। কারণ শরীরে বর্জ্য জমতে থাকে আর সেখান থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। দৃষ্টিশক্তিতেও প্রভাব পড়ে। তাই প্রাণীজ প্রোটিন একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। সব সময় চেষ্টা করবেন উদ্ভিজ প্রোটিন খাওয়ার এবং তা মেপে খাওয়ার।
টফু ফ্যাটি লিভারের জন্য খুব ভাল। যে কোনএ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেলেই তা পেয়ে যাবেন। টোফুর মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড অনেকটা পরিমাণে থাকে। ৮৫ গ্রাম টোফু খেলে সেখান থেকে শরীর ৯ গ্রাম প্রোটিন পায়।
মটর ডাল ফ্যাটি লিভৈরের জন্য খুব ভাল। রোজ একবাটি করে এই ডাল খান। ডালের মধ্যে থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফোলেট, আয়রন। আর মটর ডাল হজম হয় সহজে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে।
মুসুর ডালের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। সেই সঙ্গে থাকে ফাইবারও। তাই মুসুরের ডাল খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। এছাড়াও রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার। লিভারে জমে থাকা চর্বি কমাতেও সাহায্য করে মুসুর ডাল।
সোয়াবিনের বীজ বা সোয়াবিনও খুব ভাল শরীরের জন্য। সোয়াবিন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, আয়রন, ক্যালশিয়াম এসব বিশেষ থাকে না। এছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট এসব বেশি থাকে। এছাড়াও রোজ সকালে উঠে ভেজানো ছোলা-মুগ-বাদাম খান। এতেও অনেক উপকার হয়।