রোজকার কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরে নানা রোগ ডেকে এনেছে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজ জাঁকিয়ে বসেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যৌন জীবন। সাংসারিক দায়দায়িত্ব, কাজের চাপ, মানসিক চাপ সবই প্রভাব ফেলে যৌন জীবনের উপর। ব্যস্ত জীবনযাত্রার মাঝে অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে। এছাড়া অনেক পুরুষই ভুগছেন শীঘ্রপতনের সমস্যায়। যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার আগে অনেক পুরুষই ভায়গ্রার সাহায্য নেন। এই ড্রাগ সুরক্ষিত হলেও, প্রাকৃতিক উপায়েও যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায়। ন্যাচারাল ভায়গ্রা হিসেবে বেছে নিতে পারেন তরমুজকে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অনেকেই দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু যৌন সমস্যা মেটানো যায় খুব সহজে। জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেই আপনি বাড়াতে পারেন যৌন ক্ষমতা। ধূমপান ত্যাগ করা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমানো, শরীরচর্চা সবই নির্ভর করে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য। এমনকি ডায়েটও লিবিডো বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। আর খাদ্যতালিকায় তরমুজ থাকলে আর ভায়গ্রার দরকার পড়বে না।
বিছানায় দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকার জন্য, সঙ্গীকে খুশি করার জন্য ভায়াগ্রার সাহায্য নেন। কিন্তু এই উপাদানের সাহায্য ছাড়াই আপনি যৌন জীবনকে রঙিন করে তুলতে পারবেন। ভায়গ্রার বদলে এই গরমে রোজ তরমুজ খান। টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরমুজ সেক্স ড্রাইভ বাড়াতে সাহায্য করে। যৌন অক্ষমতা দূর করতে ভীষণ সহায়ক তরমুজ।
তরমুজের মধ্যে সিট্রোলিন নামের এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান পুরুষদের মধ্যে ইরেকশনে সহায়তা করে। ভায়গ্রা পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করে। এর জেরে পুরুষের মধ্যে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং ইরেকশনে সহায়তা হয়। এই একই কাজ করতে পারে তরমুজ। তরমুজে থাকা আরজিনিন উপাদানও একই কাজ করে। এই উপাদান যৌন ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
ভায়গ্রার বদলে তরমুজকে বেছে নিতেই পারেন। যদিও এই গরমে তরমুজ খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। তরমুজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমায়। যাঁদের যৌন জীবনে স্ট্রেস বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাঁরাও খেতে পারেন তরমুজ। ওবেসিটিও যৌন জীবন নষ্ট করে দেয়। সেক্ষেত্রেও আপনি তরমুজ খেতে পারেন। এই ফলের মধ্যে ৯০ শতাংশ জল আর ক্যালোরি নেই। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই। মোদ্দা কথা, আপনার সেক্স লাইফকে সুন্দর করে তুলতে পারে এই গ্রীষ্মকালীন ফল।