Low Blood Pressure: নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনের লক্ষণ কী কী? সমস্যা এড়াতে কী করবেন

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনও মানবশরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Low Blood Pressure: নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনের লক্ষণ কী কী? সমস্যা এড়াতে কী করবেন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপকে বলা হয় হাইপোটেনশন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 12:50 PM

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনায় বেশিরভাগ সময়েই প্রাধান্য পায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা। এর সঙ্গে একই ভাবে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেশারের ফলেও কিন্তু মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপকে বলা হয় হাইপোটেনশন। সারাদিন ধরে আমরা নানা ধরনের কাজকর্ম করি। আমাদের অ্যাক্টিভিটি অনুসারে সারাদিনই রক্তচাপ ওঠানামা করে। কিন্তু এক ধাক্কায় রক্তচাপের মাত্রা অনেকটা নেমে গেলেই শুরু হয় সমস্যা। এমনকি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জিনগত কারণের পাশাপাশি ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জল কমে যাওয়া এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

১। হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে অসম্ভব দুর্বলতা দেখা দেবে। মাথা ঘোরানো, ঝিম ধরা ভাব, কোনও কিছুর সাপোর্ট ছাড়া ২-৩ স্টেপ হাঁটতেও সমস্যা হতে পারে। সবসময়ই মনে হতে পারে শরীরে কোনও শক্তি নেই, যখন তখন আপনি পড়ে যেতে পারেন।

২। প্রেশার আচমকা কমে গেলে কিংবা যাঁরা হাইপোটেনশনের রোগী, তাঁরা যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। সবসময়ই মাথায় একটা ঝিম ধরা ভাব থাকতে পারে। মাথা ঘোরাতে পারে।

৩। রক্তচাপ কমে গেলে আপনি জল তেষ্টা অনুভব করবেন। অর্থাৎ মনে হবে আপনার ভীষণ জল তেষ্টা বা জল পিপাসা পেয়েছে, যেন অনেকক্ষণ জল খাননি। ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে।

৪। নিম্ন রক্তচাপের কারণে চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। সামনের সবকিছুই কেমন যেন অন্ধকার, ঝাপসা, ধোঁয়াশা মতো লাগতে পারে। অর্থাৎ চোখের ক্লিয়ার ফোকাসের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫। এছাড়াও হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়া, ঘন ঘন শ্বাস পড়া এইসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ‘কোল্ড বডি আর সোয়েটি স্কিন’- এর সমস্যা হতে পারে। দুর্বল হতে পারে আপনার পালস। ব্রিদিং রেট বেড়ে যেতে পারে।

এই সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?

  • বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না।
  • অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
  • সোডিয়াম যুক্ত খাবান খান।
  • টোম্যাটোর রস খেতে পারেন রোজ। বিছানা থেকে ওঠার আগে পা মাটিতে দিন। একটু অপেক্ষা করে তারপর উঠুন।

যদি দেখেন, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় যে সমস্ত লক্ষণ দেখা দেওয়ার কথা, তার মধ্যে বেশিরভাগই আপনার শরীরেও দেখা যাচ্ছে এবং আপনি অসুস্থ বোধ করছেন, তাহলে অতি অবশ্যই সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোগ লুকিয়ে রাখলে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে সমস্যা বড় আকার নেবে।

আরও পড়ুন- Health Benefits: ব্যাড কোলেস্টেরল কমায় আঙুরের রস, ভাল রাখে হৃদযন্ত্রও, জেনে নিন অন্যান্য গুণ