ভারত তথা গোটা বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের হার বাড়ছে। মহিলাদের স্তন ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসারের পাশাপাশি ফুসফুস ক্যানসারের হার বেড়ে চলেছে। গত বছর, মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, কেবল ধূমপায়ীরা নন, বিপুল সংখ্যক অধূমপায়ীও ফুসফুস ক্যানসারের শিকার হচ্ছেন। যার মধ্যে মহিলা-পুরুষ উভয়ই রয়েছে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও এই ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, ধূমপান না করেও কেন এই ক্যানসার হচ্ছে? এ বিষয়ে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসে ক্যানসারের সবচেয়ে বড় কারণ ধূমপান। তবে, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে অধূমপায়ীরাও এই ক্যানসারের শিকার হচ্ছেন। বিশিষ্ট ক্যানসার সার্জন জানান, গত কয়েক বছরে বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দূষণের ছোট কণা শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং সেটা পরবর্তীতে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংও ক্যান্সার সৃষ্টি করে। অর্থাৎ আপনি ধূমপান না করলেও আপনার আশেপাশের মানুষ ধূমপান করলে সেই ধোঁয়া আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং পরে এটি ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
হরমোনাল মেকআপও কারণ
শেলবি স্যানার ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের পরিচালক ডাঃ অর্চিৎ পন্ডিত জানান, একজন ব্যক্তির হরমোনের মেকআপও ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। ল্যানসেটের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় বেশি।
ফুসফুস ক্যানসার প্রতিহত করতে ধূমপায়ীদের পাশাপাশি অধূমপায়ীদেরও মধ্যেও উপসর্গ দেখা দিলে ক্যানসারের পরীক্ষা করানো জরুরি। ক্যানসার শনাক্ত করতে বুকের লো ডোজ LDCT পরীক্ষা করা হয়।
ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গগুলি কী?
ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গগুলি হল, অবিরাম বুকে ব্যথা, কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন বুকে সংক্রমণ। এগুলির মধ্যে সবকটি বা কোনও একটিও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা কী?
ডাঃ আর্কিটের মতে, ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য রোগীর উপর থোরাকোস্কোপিক সার্জারি করা হয়। এছাড়া কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপি দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপিও দেওয়া হয়।