যত দিন যাচ্ছে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যানবাহনের ধোঁয়া থেকে সিগারেট-বিড়ির ধোঁয়া—সবই প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্যের উপর। মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের উপর। শীতকাল এলেই সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ নিয়ে মানুষ সচেতন হন। সিওপিডি থাকলে ছুঁয়ে দেখা যাবে না সিগারেট। এটা এমন এক ধরনের ক্রনিক রোগ, যা একবার বাসা বাঁধলে কোনও দিন ছেড়ে যায় না। যদি ১০-১২টার বেশি সিগারেট খান, আপনিও সিওপিডি-এ আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে আপনাকে সারাবছর নিজের খেয়াল রাখতে হবে।
সিওপিডি থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রতিদিন ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। নিয়মিত হাঁটাচলা ও হালকা ব্যায়াম করা দরকার। অক্টোবর-নভেম্ব্র মাসে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিন। প্রতি ৫ বছর অন্তর নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নিন। সিগারেট, বিড়ি ছুঁয়ে দেখা যাবে না। ধোঁয়া, ধুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি রোজের পাতে কয়েকটি খাবার রাখলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
সিওপিডি-এর সমস্যায় যে সব খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখবেন-
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন শুধুমাত্র শরীরে কাজ করার ক্ষমতা জোগায়, তা নয়। দেহের একাধিক কার্যসম্পাদনে সাহায্য করে প্রোটিন। তাই দেহে কোনওভাবেই প্রোটিনের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, বাদাম, শাক ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: ওজন কমানোর জন্য ডায়েট থেকে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট বাদ দেন। কিন্তু সিওপিডি থাকলে কার্বোহাইড্রেট বাদ দেবেন না। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এই পুষ্টিও সমান জরুরি। আলু, ওটস, বিনসের মতো বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে ডায়েটে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এতে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কুমড়োর বীজ, টমেটো, অ্যাভোকাডো, বিটরুট ইত্যাদি রোজের পাতে রাখুন।