
তরমুজের মরশুম এখন। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা আর তাপপ্রবাহের মাঝে শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে এই ফল রোজ খেতেই হবে। যেহেতু তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশ জল, গরমের আদর্শ ফল এটি। মিষ্টি-লাল তরমুজ খেতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু সবসময় দানা ছাড়িয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে ৩-৪টে দানা চিবিয়ে ফেলেন। তেতোও লাগে না যে ফেলে দেবেন। কিন্তু তরমুজের সঙ্গে দানা খাওয়া কি ঠিক?
তরমুজের দানায় প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এসব উপাদানগুলো দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা প্রদান করে। ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। তরমুজের দানা খেলে কী-কী উপকারিতা মেলে, দেখে নিন এক নজরে।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর তরমুজের দানা। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বক ও চুলকানির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে। তরমুজের দানা ত্বকের উপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
চুলের গোড়া মজবুত করে: প্রোটিন থেকে শুরু করে আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এই সব উপাদান চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তরমুজের দানা চুল পড়া কমায়। পাশাপাশি চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে: তরমুজের দানার মধ্যে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এর জেরে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া তরমুজের দানায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ কমায় এই দানা।
ডায়াবেটিসে উপকারী: রক্তে শর্করার মাত্রা ঘন ঘন ওঠা-নামা করে? অবশ্যই ডায়েটে রাখুন তরমুজের দানাকে। ডায়াবেটিসেও খেতে পারেন এটি। তরমুজের দানায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম কার্বোহাইড্রেটের মেটাবলিজমে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম তরমুজের দানা।
ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে: বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর তরমুজের দানা। এছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে এই দানায়। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে তরমুজের দানা। এছাড়া স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা সচল রাখে। মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি কাজ করার এনার্জি বাড়ায় তরমুজের দানা।